হাতির হানায় ফসলের ক্ষতিপূরণ মিলবে খুব তাড়াতাড়ি , জানিয়েছে বন দপ্তর
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই হাতির (Elephant) হানায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন।এমনটাই আশ্বস্ত করছে বন দফতর। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলায় গলসি আউশগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় হাতির হামলায় পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।হাতি সরানোর দাবিতে তখনই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বাসিন্দারা। অবিলম্বে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে তখনই আশ্বস্ত করেছিল বন দফতর।ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
বাঁকুড়া পাত্রসায়েরের জঙ্গল থেকে দামোদর পেরিয়ে রাতের অন্ধকারে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঢুকে পড়েছিল হাতির (Elephant) দলটি। গলসির বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি আউশগ্রাম ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় ষাটটি হাতির বিশাল দলটি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের ভালকি, প্রতাপপুরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বিল্বগ্রাম,গুসকরা,দিগনগর, এড়াল এলাকায় পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে হাতির দলটি।
এইসব এলাকার কৃষকরা যাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান তার সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।বন দফতর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কৃষকদের হাতে হাতে ক্ষতিপূরণের আবেদন পত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। এরপর কতটা পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত সেই কাজ শেষ করতে বনকর্মীদের একাধিক দল বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। হাতির পায়ের ছাপের সংখ্যা দেখে ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে। দিন পনেরোর মধ্যে যাতে চাষিরা ক্ষতিপূরণের টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যান সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
এদিকে গলসি এলাকার কৃষকদের আশঙ্কা, হাতির দল ফের বাঁকুড়া থেকে দামোদর পেরিয়ে এলাকায় ঢুকতে পারে। বাসিন্দারা বলছেন, প্রতি বছরই দলছুট হাতি ঢুকে পড়ে। তবে এবারের মতো হাতির পাল আসেনি। এমনিতে হাতির দলটি যদি যাতে দামোদর পার না হতে পারে সে জন্য বাঁকুড়া জেলায় দামোদর লাগোয়া এলাকায় নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তাই হাতির দল ফের এসে ফসলের যাতে আর ক্ষতি না করতে পারে তা নিশ্চিত করুক বন দফতর- এমনটাই চাইছেন বাসিন্দারা।