সাপের বিষে নীল হয়েও পরীক্ষা দিল

 

ধীরে-ধীরে অবচেতন হওয়ার অবস্থায় চলে গিয়েছিল সে। তাকে দেখে অনেকক্ষণ আগেই শিক্ষকদের সন্দেহ হয়েছিল। এরপর বাধ্য হয়ে দৌঁড়ে এসে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গৌতমকে প্রশ্ন শুরু করেন তারা। তখনই বেরিয়া আসে আসল সত্যিটা। যা শুনে শিক্ষকদের চক্ষু রীতিমতো চড়কগাছে ওঠার মতো অবস্থা।

 

 

শিক্ষকরা জানতে পারেন যে, গত রবিবার রাতে বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়ে সকালে অসুস্থ শরীর নিয়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছে ওই ছাত্র। তাঁর এই জেদ এবং হার না মানার লড়াই দেখে রীতিমতো বাকরুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। দেরি না করে বিপজ্জনক অবস্থায় ওই ছাত্রকে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখাকার চিকিত্‍সকরা তার প্রাথমিক চিকিত্‍সা করেন। আর হাসাপাতালের বেডে বসেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন করে সে। তাঁর জেদের কাছে পুরোপুরি হার মানতে বাধ্য হয় অসুস্থ শরীর এবং যন্ত্রণা। যা দেখে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গৌতমকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাতে বাধ্য হন শিক্ষক-শিক্ষিকা-সহ সকলে।পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জেদ করে অসুস্থ শরীর নিয়েই এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল সে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *