এই চার জেলার মহিলারা নভেম্বর মাসে পাবেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা

ভোটের আগে প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা ভোটারদের টার্গেট করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রত্যাবর্তন করলেই হাত খরচের জন্য দেওয়া হবে টাকা। আর সেই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে প্রত্যাবর্তনের পর এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নামে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।যে প্রকল্পের আওতায় আবেদনকারী মহিলারা পাচ্ছেন হাত খরচ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আবেদনকারী মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অক্টোবর মাসের শুরুতেই সেই টাকা আসতে শুরু করেছে। তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের অ্যাকাউন্টে এসেছে ১০০০ টাকা এবং সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের অ্যাকাউন্টে এসেছে ৫০০ টাকা। এই টাকা প্রতি মাসেই পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে সরকারি সূত্রে।

তবে অক্টোবর মাস থেকে রাজ্যজুড়ে এই টাকা দেওয়া শুরু হলেও চার জেলার মহিলারা অক্টোবর মাসে এই টাকা পাবেন না। কিন্তু কেন পাবেন না? তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নবান্ন থেকে এই চার জেলার মহিলাদের টাকা না পাওয়ার কারণ জানানোর পাশাপাশি তিনি তাদের আশ্বস্ত করেন, নভেম্বর মাসে তারা এক সঙ্গে দুই মাসের টাকা পেয়ে যাবেন।

যে চার জেলার মহিলারা টাকা পাবেন না সেই জেলাগুলি হল উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও কোচবিহার। এই চার জেলার কোচবিহার, শান্তিপুর, গোসাবা, খড়দহে আগামী ৩০ অক্টোবর রয়েছে উপনির্বাচন। উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কারণে এখন থেকেই এই সকল এলাকায় লাগু হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় জানান, “যেহেতু এই চার জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী ৩০ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তাই উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও কোচবিহারের এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপভোক্তারা অক্টোবরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন না।

নির্বাচন প্রক্রিয়া চলায় টাকা দেওয়ায় বাধা রয়েছে। তবে নভেম্বরে একসঙ্গে ২ মাসের টাকা পাবেন তাঁরা। ফলে চিন্তার কোনও কারণ নেই।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসে অর্থাত্‍ এই চার কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল বেরনোর পর তাদের প্রাপ্য টাকা পৌঁছে যাবে। একসঙ্গে দু’মাসের টাকা পৌঁছাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *