স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নয়া অ্যাডভাইজারি জারি রাজ্যের

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (swasthya sathi) ফিরিয়ে দিলে চলবে না। রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির জন্য অ্যাডভাইজারি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড লাগবেই।বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও এই নিয়ম মানতে হবে, না হলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। সোমবার উত্তরকন্যার প্রশাসনিক সভা থেকে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছিলেন, শোনা গেছে অনেক বেসরকারি হাসপাতালই নাকি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না। সেইসব হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করার কথাও বলেন। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়াকড়ি করার কথা বলার পরদিনই নয়া অ্যাডভাইজারি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
কী কী বলা হয়েছে অ্যাডভাইজারিতে ?
প্রথমত, প্যাকেজ বহির্ভূত খরচ নিয়েই অ্যাডভাইজারিতে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বারবার অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ১৯০০ প্যাকেজের বাইরেও টাকা নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। অ্যাডবভাইজারিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্যাকেজের বাইরে গিয়ে টাকা নিতে পারবে না কোনও হাসপাতালই। এমার্জেন্সির ক্ষেত্রে মেডিসিন ও সার্জারিতে প্যাকেজ বহির্ভূত বিল করা যাবে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর বেশি নিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করা হবে। হয়েছে। অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে যদি কারও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকেই বানিয়ে দেওয়া হবে কার্ড। সরকারি হাসপাতালগুলিতে ইনডোরে ভর্তি করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী বা অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রকল্পের কোনও কার্ড থাকলে তার আওতাতেও নিয়ে আসা হবে।
রোগীদের যদি কেন্দ্রীয় হেলথ স্কিম বা ইএসআই কার্ড থাকে তাহলে তার আওতাতেও রোগীদের নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে অ্যাডভাইজারিতে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাসপাতালে আনতে ভুল হলে আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে রোগীকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও যাতে রোগী পরিষেবা পায় তার জন্য হাসপাতাল থেকেই সক্রিয়ভাবে কার্ড ইস্যু করার কথাও বলা হয়েছে।