মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং গুরুতর আহতদের পরিবারপিছু ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ
শুধু কি বাজি, নাকি বাজি কারখানার আড়ালে বোমার মতো কোনও শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরি হত এগরার ওই বাড়িতে?
মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯।গোপীনাথপুর চাঁদকুড়ি গ্রামের বিস্ফোরণস্থলের চারপাশ থেকেই দেহগুলি একে একে উদ্ধার করে পুলিশ।অন্তত সাত জন আহতের হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে।স্থানীয়দের দাবি, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছেন, ৯ জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে সকাল এগারোটা নাগাদ । বিস্ফোরণের জেরে গোটা বাড়িটি উড়ে যায়। বাড়ির চারপাশেই ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়েছিলেন মৃত এবং আহতরা।
এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, এনআইএ তদন্তে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই।পুলিশ জানিয়েছে,বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগ ছিল ভানু বাগের বাড়িতে।১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।জামিন পেয়েই অভিযুক্ত ভানু বাগ ফের বেআইনি বাজির কারবার শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।ঘুষ নিয়ে এই বেআইনি কারবার চালানোয় সাহায্য করার অভিযোগ। পুলিশকর্মীদের মারধরও করা হয়।বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে প্রশ্ন উঠছে, শুধু কি বাজি, নাকি বাজি কারখানার আড়ালে বোমার মতো কোনও শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরি হত এগরার ওই বাড়িতে?
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং গুরুতর আহতদের পরিবারপিছু ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এগরার ঘটনা জানার পরেই এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধী নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা।দিনের বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃষ্ণপদ। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি তুলেছে, কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূল কর্মী। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, তৃণমূলের লোক হলে গতবার কালীপুজোর সময় রাজ্য পুলিশ কেন গ্রেফতার করল ওঁকে?আইসিকে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত দিতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন মমতা।