দলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হলেন এক বিজেপি কর্মী

বালসি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান বর্তমানে নিজেকে যুব মোর্চার জেলা কমিটির সদস্য দাবি করে 'আক্রান্ত' বুদ্ধদেব পাল বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি যখন বালসি মোড়ের এর দোকানে বসে ছিলেন ঠিক তখনই এক সময় সিপিএমের 'হার্মাদ' হিসেবে পরিচিত ও বর্তমানে বিজেপিতে নাম লেখানো কয়েকজন দুস্কৃতি তাকে আক্রমণ করে। ঐ দূস্কৃতি দলের রড, টাঙ্গি, লাঠির আঘাতে তিনি গুরুতর জখম বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে 'আক্রান্ত' বুদ্ধদেব পাল বলেন, আগে তৃণমূল করলেও ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের সময়  বিজেপিতে যোগ দিই। রাতেই 'আক্রান্ত' ঐ বিজেপি কর্মীকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

পাত্রসায়রের ঘটনাই প্রমাণ করছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল কতোটা প্রবল। দাবি তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার। তিনি বলেন, বিজেপির এখন ঘরে ঘরে গোষ্ঠী।

বিজেপির অত্যাচারে এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত। ‘আদি ও নব্য বিজেপি’র এই অন্তর্দ্বন্দ সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন বলে তিনি দাবি করেন।

তাদের দলের কেউ আক্রান্ত বলে তার জানা নেই, দাবি বিজেপির রাঢ় বঙ্গ জোন কমিটির কনভেনর পার্থ কুণ্ডুর। তিনি এবিষয়ে বলেন, এখন সবাই নিজেকে বিজেপি বলে দাবি করছে। তবে আমাদের দলের কোন কার্যকর্তা আক্রান্ত এমন খবর আমাদের কাছে নেই। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বলে রটিয়ে তৃণমূল অপপ্রচার করছে। আক্রান্ত ব্যক্তি সত্যিই তাদের দলের কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখার কথা বললেও পুরো বিষয়টি তৃণমূলের অপপ্রচার ও নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দকে ঢাকতে বিজেপির নামে চালানো হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *