টোটো নিয়ে রাজ্যের মত জানতে নির্দেশ হাইকোর্টের

যততত্র বেআইনি টোটো নিয়ে কড়া অবস্থান কলকাতা হাইকোর্টের। বেআইনি টোটো নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট ।আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিবহন দফতরের সচিব কে এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা করতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।অভিযোগ, বেআইনি টোটো বন্ধ করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি রাজ্যের তরফে।

সম্প্রতি এই অভিযোগে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়।এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ। হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি কেন? রাজ্যজুড়ে বেআইনি টোটো নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক রাজ্য। সম্প্রতি কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । রাজ্য জুড়ে বেআইনি টোটো যাতায়াত নিয়ে গত ২০১৪ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়েছিল। এইরকম এক মামলা গত ২০১৭ সালে করেছিলেন হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা রীতা মিত্র।

টোটো বিষয়ক সমস্ত মামলা একসাথে শুনানি গ্রহণ করা হয়। ২০১৮-র ১৭ অগাস্ট তত্‍কালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় -‘আগামী ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য জুড়ে বেআইনি চলাচল বন্ধ করতে হবে’। তবে সেই নির্দেশের পরেও কাজ না হওয়া আবেদনকারীরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ।এরপর ২০১৮-র ১৬ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ ফের নির্দেশ দেয় , -‘ ২০১৯-এর ৩১ মে-র মধ্যে সমস্ত বেআইনি টোটো বন্ধ করতে হবে’।

এরপরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এরপর ২০১৯ সালে ৫ অগাস্ট তত্‍কালীন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস রাধাকৃষ্ণাণের ডিভিশন বেঞ্চ ফের নির্দেশ দেয় , -‘ চলতি বছরের ৩১ অগাস্টের মধ্যেই সব বেআইনি টোটো বন্ধ করতে হবে’। আদালতের একের পর এক নির্দেশেও কাজ না হাওয়ায় আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করেন মামলাকারী রীতা মিত্র।

এই মামলার শুনানি চলাকালীনই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিত্‍ ব্যানার্জি ও বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় – ‘ বেআইনি টোটো নিয়ে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিবহন দফতরের সচিবকে জানাতে হবে’।উল্লেখ্য, বেআইনী টোটোর দৌরাত্ম্যে গ্রাম থেকে শহর বিভিন্ন রাস্তা প্রায় সময় ট্রাফিক জ্যাম যন্ত্রণা দেয় পথচারী থেকে অন্যান্য যান চালকদের কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *