আবারও স্কুল ও কলেজ খোলা নিয়ে জারি হলো বিশেষ নির্দেশিকা
করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি কাটেনি এখনও। প্রতিনিয়ত দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে রাজ্যে খুলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ (School College Reopenning)। শুরু হয়েছে তোড়জোড়। আগেই বুকলেট প্রকাশ করে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল বিকাশ ভবনের তরফে। এবার ফের সব জেলার জেলাশাসকদের পাঠানো হল বিশেষ নির্দেশিকা।স্কুল খোলার সময় কী কী মানতে হবে, তার তালিকা পাঠানো হল বিকাশ ভবনের তরফে। পাশাপাশি কলেজ খোলার জন্য়ও নির্দেশিকা পাঠানো হল।
আজ স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে সব জেলার জেলাশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানেই স্কুল খোলার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে ১ নভেম্বর থেকেই স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্কুলগুলি যাতে পরিস্কার করা যায় সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠার জন্য যাতে অনুমতি দেওয়া হয়, প্রধান শিক্ষকদের সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি বা অতিমারি শুরু হওয়ার পর কলেজ গুলি প্রথমবার খুলছে। তাই কলেজগুলির জন্যও জারি হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। কোভিড নিরাপত্তা নিয়ে অধ্যাপকদের ট্রেনিং দেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। থার্মাল স্ক্যানিং-এর পরই কলেজ চত্বরে প্রবেশ করতে পারবে পড়ুয়ারা। কারও উপসর্গ থাকলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কলেজে বহিরাগত প্রবেশে রাশ টানতেও নীতি নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বই জলের বোতল শেয়ার করা যাবে না, বন্ধুদের কাছাকাছি আসা যাবে না, শেয়ার করা যাবে না টিফিন হোস্টেলে কোভিড প্রোটোকল মানার কথা বলা হয়েছে। তবে অত বেশি ঘর না থাকায় কী ভাবে তা মানা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সব জায়গায় এই অল্প সময়ে স্যানিটইজেশন চেম্বার বসানো সম্ভব নয় বলেওস জানিয়েছেন অধ্যাপকরা।
করোনার বিষয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করার দায়িত্বও স্কুলকেই দিয়েছে রাজ্য। করোনা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডোন্টস’-এরও একটি তালিকা রয়েছে বিকাশ ভবনের স্কুল রিওপেন বুকলেটে। সেখানে বলা হয়েছে, জ্বর হলে কোনও অভিভাবক যেন পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠান। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ক্লাস চলাকালীন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর পর ক্লাসরুম, ল্যাব বা অন্যান্য ঘরগুলি স্যানিটাইজ করতে হবে।
তবে এই স্কুল খোলা কতটা ঠিক হচ্ছে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই প্রসঙ্গে চিকিত্সক সুমন পোদ্দার বলেন, “এবার বাবা মাকে খুব বেশি করে সতর্ক হতে হবে। ছেলে মেয়েরা বন্ধুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যাচ্ছে, একই পাতে খাবার খাচ্ছে এগুলো যেন না হয়। হঠাত্ করে এখন লাগামছুট হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকবে। তা যেন কোনও ভাবেই অভিভাবকরা মান্যতা না দেন। মাস্ক, স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে। স্যানিটাইজার জেল হলে সব থেকে ভাল।”
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমাদের কাজ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যেমন বলেছেন, সেই মতো পরিকাঠামো দেখা।” এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছিলেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁর।