হাতিদের করিডর হিসেবে এবার হয়তো যুক্ত হতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান

হাতিদের করিডর (Elephant Corridor) হিসেবে এবার হয়তো যুক্ত হতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলা। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া জেলায় বেশ কিছু জঙ্গলে সারা বছর হাতির দল থাকে। কালেভদ্রে তাদের দু-একটি দলছুট হয়ে দামোদর পার হয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঢুকে পড়ে।কিন্তু এবার একসঙ্গে ৬০ টিরও বেশি হাতি পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঢুকে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে ভাবনাচিন্তা শুরু করছে বন দফতর।

সে ক্ষেত্রে ঝাড়গ্রাম থেকে বাঁকুড়া হয়ে বর্ধমান পর্যন্ত হাতিদের করিডর তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে বন দফতর। এ ব্যাপারে বিস্তারিত সমীক্ষা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। বন দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, একসঙ্গে এতো হাতি পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঢুকে পড়েছে এমনটা আগে দেখা যায়নি। দামোদর পেরিয়ে একটি বা দুটি হাতি গলসি, আউশগ্রাম, মন্তেশ্বর, বর্ধমানে ঢুকেছে এমন ঘটনা প্রায় প্রতি বছরই ঘটে।

দু-একদিনের মধ্যে তাদের ফেরত পাঠানোও সম্ভব হয়। কিন্তু একসঙ্গে শাবক সহ ৬০ টিরও বেশি হাতি জেলায় ঢুকে সাত দিন কাটিয়ে গেল এই বিষয়টিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে না।তাঁরা বলছেন, কৃষি প্রধান পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রচুর খাবার ও পানীয় জল পেয়েছে হাতির দল। ফলে হাতিদের বাঁকুড়া জেলায় ফেরত পাঠাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। এই জেলা ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যথেষ্টই অনীহা দেখা গিয়েছে। তাই খাবারের টানে হাতির দল আবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় আসতেই পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

এমনিতে সারা বছরই ঝাড়গ্রাম গড়বেতা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সোনামুখী পাত্রসায়ের বেলিয়াতোড় বড়জোড়ার জঙ্গলে হাতিদের দেখা পাওয়া যায়। তাই দলমা থেকে নেমে আসা হাতিদের বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে এই এলাকাগুলিতে ধরে নেওয়া হয়েছে। এখন হাতিদের এই করিডরের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলায যুক্ত হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঝাড়গ্রাম থেকে শুরু করে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) পর্যন্ত হাতিদের (Elephant) এই বিচরণক্ষেত্রকে করিডর (Corridor) হিসেবে চিহ্নিত করার ভাবনা চিন্তা নিয়েছে বন দফতর। তবে এ ব্যাপারে হস্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।তাদের পরামর্শ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে বিস্তারিত সমীক্ষা চালানো হবে। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় কৃষি জমি অনেক বেশি হওয়ায় হাতিদের করিডর হিসেবে এই জেলার বেশ কিছু অংশ চিহ্নিত হলে ক্ষয়ক্ষতিও অনেক বেশি হবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *