কিভাবে ক্লাস হবে সূচি ঘোষণা করলো মধ্য শিক্ষা পর্ষদ
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। রাজ্যে এই মুহূর্তে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা সংক্রমণ। উত্সবের মরশুমে কিছুটা হলেও সংক্রমণ বাড়লেও নিয়ন্ত্রনেই রয়েছে পরিস্থিতি। আর সেদিকে তাকিয়েই আগামী ১৬ তারিখ থেকে রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের।
যদিও সমস্ত ক্লাস একসঙ্গে খোলা হচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে নবম এবং দশম শ্রেণি এবং একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি খোলা হচ্ছে। স্কুল খুললেও একসঙ্গে সব ক্লাস হবে না। সেই সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরে। অন্যদিকে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ক্লাসের জন্য সময়সূচী ঘোষণা করেছে।
নবম এবং দশম শ্রেণীর জন্যে কীভাবে ক্লাস হবে সেদিকে তাকিয়ে এই সূচী ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, নবম ও দশম শ্রেণীর ক্লাস শুরু হবে বেলা ১০টায়। চলবে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত।
তবে পড়ুয়াদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে স্কুলে ঢুকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস চলবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে তাদের স্কুলে আসতে হবে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই স্কুল খোলা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়।
সেখানে স্পষ্ট বলা হয় যে, স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ার আধ ঘন্টা আগে ঢুকতে হবে। শুধু তাই নয়, আপাতত কোনও প্রেয়ার হবে না। এমনকি স্কুলের মধ্যে কোনও অভিভাবক ঢুকতে পারবেন না। এহেন একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়।
অন্যদিকে এদিন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে আরও খবর, সোম থেকে শনিবার, প্রতিটি শ্রেণীকে দুটি বা তার বেশি কক্ষে ভাগ করে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে।
একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করলে থিওরি ক্লাসের পাশাপাশি ওই দিন থেকে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নিতে পারবে। স্কুলের পরিকাঠামো অনুযায়ী প্রত্যেকটি ক্লাসকে যথাসম্ভব আলাদা ঘরে ভাগ করে নিতে বলা হয়েছে। সমস্ত শিক্ষক,শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের কোভিড বিধি নিষেধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বলেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। শিক্ষকদের বলা হয়েছে পড়ুয়াদের এব্যাপারে সচেতন করতে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে স্কুলে যেতে শুরু করেছেন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে দেওয়া কোভিড বিধি অনুযায়ী প্রত্যেকদিন জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যদিও আগেও এক রাউন্ড স্কুলগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হয়েছে। কিন্তু স্কুল পুরোদমে চালু হলে প্রত্যেকদিন স্কুল স্যানিটাইজ করার কথা বলা হয়েছে। তবে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে। কারণ একাধিক রাজ্যে স্কুল খোলার পর থেকেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।