যশ’ কী তাণ্ডব চালাবে বাংলায়!
কয়েকদিনের প্যাচপ্যাচে গরমে বলা যায় নাজেহাল বঙ্গবাসী। ঘরে থেকেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন সকলে। এরই মধ্যে এবার, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
ধেয়ে আসছে আম্ফানের চেয়েও ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। চলতি সপ্তাহেই আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবনে, এমনটাই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২৩শে মে রবিবার আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। যা ঘূর্ণাবর্তে পরিবর্তিত হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর অভিমুখ পরিবর্তন করে যেতে পারে বাংলাদেশে। তার জেরেই চলতি মাসের শেষে প্রবল ঝড়, বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। এর তীব্রতা আম্ফানের থেকেও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আম্ফান ছিল সুপার সাইক্লোন। ভূমিস্পর্শকালে তার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৯০কিমি। যদিও সাগরের বুকে তার সর্বোচ্চ গতি উঠেছিল ২৬০কিমি প্রতি ঘন্টা যা স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১ মিনিট ও তারপরে ২৪০কিমি প্রতি ঘন্টা যার স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র ৩মিনিট। কলকাতার ওপর দিয়ে এই ঝড় যখন বয়ে গিয়েছিল তখন তার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১১০কিমি। আবার এই একই গতিতে আয়লা আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবনের বুকে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যশ ১২০কিমি প্রতি ঘন্টা বেগেই ভূমি স্পর্শ করবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আইএমডি এই ঝড়ের গতিপথ সম্পর্কে জানিয়ে যে এটি, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হয়েই পারাদ্বীপে ল্যান্ডফল করবে বা ভূমিস্পর্শ করতে পারে। নাহলে আরও শক্তি বাড়িয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে সে পা রাখতে পারে বাংলাদেশের বুকে। যেখানেই সেই ভূমিস্পর্শ করুক না কেন, বাংলার উপকূলবর্তী এলাকা ভালই প্রভাবিত হবে। দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ঝড়ের দাপটে সেখানে কাঁচা ও মাটির বাড়ি পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর গাছ ভাঙবে। উপড়ে পড়তে পারে বিদ্যুতের খুঁটিও। সেই সঙ্গে হবে মষুলধারে বৃষ্টি। দক্ষিনবঙ্গের সব জেলাতেই কমবেশি বৃষ্টি হবে। তবে উত্তরবঙ্গে এই ঝড়ের বড় কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকছে না।