গোটা রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বর্ধমান শহরের বিশ্ব বিদ্যালয়ের হোষ্টেলের সরস্বতী পুজো
গোটা রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বর্ধমান শহরের বিশ্ব বিদ্যালয়ের গোলাপবাগে বয়েজ ও গালর্স হোষ্টেলের সরস্বতী পুজো উপলক্ষে তত্ত্ব আদান প্রদান সম্পূর্ণ মনে হবে বিয়ে বাড়ি
গোটা রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বর্ধমান শহরের বিশ্ব বিদ্যালয়ের গোলাপবাগে বয়েজ ও গালর্স হোষ্টেলের সরস্বতী পুজো উপলক্ষে তত্ত্ব আদান প্রদান সম্পূর্ণ মনে হবে বিয়ে বাড়ি । ফুল ফুটুক না ফুটুক, এখানে আজ বসন্ত। এখানে আজই প্রেমের দিন। ভালবাসাবাসির সূচনা। শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের হস্টেলে হস্টেলে আজ প্রেমের ‘তত্ত্ব বিনিময়।’সরস্বতী পুজো অর্থাৎ বাঙালির অঘোষিত প্রেমদিবসের পরদিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস এবং বয়েজ হস্টেলের মধ্যে তত্ত্ব আদানপ্রদান প্রাচীন একটি রীতি।
আর সেই রীতির হাত ধরেই এই মাঘে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নেমে আসে অকাল বসন্ত।সরস্বতী পুজো অর্থাৎ বাঙালির প্রেমদিবসের পরদিন এখানকার ছাত্রাবাস আর ছাত্রী আবাসের মধ্যে তত্ত্ব বিনিময় হয়। একেবারে ঢাকঢোল পিটিয়ে বর-কনের বাড়ির মতোই ছাত্রী আবাস থেকে ছাত্রাবাস এবং ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রীদের আবাসে নিয়ে যাওয়া হয় উপহারের ডালি। এমন দিন তো বছরে একবারই আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শুরুর দিন থেকেই এই রীতি চলে আসছে। তত্ত্বের ডালি আদান প্রদানের মধ্যে দিয়ে এদিন দিনভর গোটা ক্যাম্পাসে হৈ-হুল্লোড়ে মাতেন ছাত্রছাত্রীরা। সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালীদের ভ্যালেন্টাইন ডে। ভালোবাসার দিন। প্রেমের দিন।
প্রথা মেনে সরস্বতী পুজোর পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়ারা তত্ত্বের ডালি সাজিয়ে বাজনা বাজিয়ে একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করে। গার্গী, নিবেদিতা, সরোজিনী, মিরাবাঈয়ের আবাসিক ছাত্রীরা বিয়ের মত গায়ের হলুদের সাজে তত্ত্বের ডালা সাজিয়ে রঙের বেরঙের শাড়ি পরে তারা অরবিন্দ, নেতাজী, চিত্তরঞ্জন, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্র ছাত্রাবাসে হাজির হয়। ছাত্রাবাসের পড়ুয়ারা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়। ঠিক একই ভাবে ছাত্রাবাসের ছাত্ররা নতুন জামা কাপড় পরে উপহারের ডালি সাজিয়ে বাজনা বাজিয়ে উপস্থিত হয় ছাত্রীদের হোস্টেলে। ছাত্রীরাও তাদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।