আতঙ্কে সারা রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারিনি গ্রামের মানুষজন

গতকাল গভীর রাতে ভাগীরথী নদীতে জল বাড়াই আবারো নদী ভাঙ্গন অব্যাহত। আতঙ্কে সারা রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারিনি গ্রামের মানুষজন। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই শান্তিপুর চর সারাগর ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়। ভাঙ্গনের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় গ্রামবাসীদের, এরপর আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গোটা গ্রামের মানুষদের মধ্যে। গতকাল গভীর রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত একইভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকে। কয়েক ঘণ্টার ভাঙ্গনের জেরে আবারো বেশ কয়েক বিঘা চাষের জমি চলে যায় নদীবক্ষে স্বভাবতই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গ্রামবাসীদের।

পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রীতিমতো আসবাসপত্র গোছানো শুরু করে দেয় গ্রামের মানুষ। তাদের দাবি ভাঙ্গনের যা তীব্রতা যখন তখন তাদের একমাত্র সম্বল ভিটেমাটি টিকুও আর থাকবে না। তাই পরিবারকে বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয় স্থান নিয়ার জন্য তারা আসবাসপত্র গোছাচ্ছেন। যদিও এই ভাগীরথী নদীতে একের পর এক ভাঙ্গনে একাধিক বাড়িঘর বিগত দিনেও চলে গেছে নদীবক্ষে স্বভাবতই সারা বছরই খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটায় ওই গ্রামের বসবাসকারী সাধারণ মানুষ।

তাদের অভিযোগ, ভাঙ্গন নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে কিন্তু নদী ভাঙ্গন নিয়ে বড়োসড়ো কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। মাঝেমধ্যে বালির বস্তা ফেলে প্রাথমিকভাবে নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ করে যায়, গ্রামবাসীদের দাবি অবিলম্বে পাকাপোক্তভাবে নদীরপাড় না বাঁধাতে পারলে এই নদী ভাঙ্গন রোধ করা যাবে না। গ্রামের মানুষ এর আগেও এই নদী ভাঙ্গন কে কেন্দ্র করে পথ অবরোধ থেকে শুরু করে বিক্ষোভ দেখায়, তাতেও নড়েচড়ে বসেনি প্রশাসন। আজ একইভাবে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় খুবই আতঙ্কের সাথে দিন কাটাচ্ছে গ্রামবাসীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *