ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও বিক্রি বাটা নেই

ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সব কিছু। গণ পরিবহন ব্যবস্থাও স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে বাজার জমছে না।শীত আসা মানেই দোকানে শীতের জামা কাপড় কেনার হিড়িক পড়ে যায়। এটাও চল ছিল।কিন্তু এবার কোভিড ও লকডাউনের জেরে সব কিছু ওলোট পালোট হয়ে গেছে।

বর্ধমান শহরের দোকানে দোকানে হরেকরকম বাহারী শীতের পোশাক সাজানো আছে। রঙবেরঙের পোশাক ঝুলছে শহরের বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাতে। সবই আছে শাল,সোয়েটার,চাদর, ব্লাঙ্কোয়েট,টুপি।কিন্তু খদ্দের নেই। কেনার লোক নেই। ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও বিক্রি বাটা তেমন হচ্ছে না। শীতবস্ত্র বিক্রেতা অয়ন ঘোষ বলেন লকডাউনের জন্য এবছর সাধারণ মানুষের হাতে টাকা পয়সা নেই। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের জন্য লোকজন তেমন ভাবে বাজারে আসছেন না। আবার এখনো তেমন ভাবে জাঁকিয়ে শীত পড়ে নি।ফলে ব্যবসার হাল বেশ খারাপ। কাশ্মীরী শাল বিক্রেতা মহম্মদ মমতাজ বলেন টুকটাক শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। অন্য বছর এই সময়ে সিংহভাগ শীতের পোশাক দোকান থেকে বিক্রি হয়ে যায়।দোকানেই পড়ে আছে শীতের পোশাক।

দীর্ঘ লকডাউন মানুষের আয় কমে গেছে। অনেকে কাজ হারিয়েছে। ফলে আর্থিক ভাবে অনেকেই চরম সংকটে আছেন।তাই বাজারে বিক্রি নেই। এমনি ধারণা ব্যবসায়ী গৌতম দত্তের।তিনি বলেন শীতের পোশাক বিক্রি যে হচ্ছে না তা নয়,তবে বাজার খুব স্লো।তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা শীত ঝাঁকিয়ে পড়লে হয়তো বাজার জমবে।কেনাকাটা বাড়বে দোকানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *