ঝড় হলেই দুই ছেলে সন্তানকে নিয়ে ছুটে যেতে হয় প্রতিবেশীর বাড়িতে

জলপাইগুড়ি থেকে কনক অধিকারী: স্বামী মারা গিয়েছেন দীর্ঘ কয়েক বছর আগে। তারপর থেকেই ছোট ছোট দুই সন্তানকে মানুষ করার দায় ভার এসে পড়েছে মিনতি রায়ের উপর। কোনো রকমে প্লাই মিলের মধ্যে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। এদিকে স্বামীর জীবদ্দশায় নির্মিত ঘরেই দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন মিনতি দেবী। কিন্তু সেই ঘরও যে এখন বসবাসের অযোগ্য তা বুঝতে পারলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
টিনের তৈরি ঘরের চাল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের মধ্যে পড়ে বৃষ্টির জল। ঝড় হলেই দুই ছেলে সন্তানকে নিয়ে ছুটে যেতে হয় প্রতিবেশীর বাড়িতে। কখন দমকা হওয়ায় তাদের সেই ছোট্ট টিনের ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাবেন তা তারা জানেন না। এদিকে মিলের মধ্যে শ্রমিকের কাজ করে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালানোই দুষ্কর। তার মধ্যে ঘর ঠিক করার কথা দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয় তাদের কাছে।
এমনই ছবি ধরা পড়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের রথেরহাট চ্যাংমারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মিনতি দেবীর দুই ছেলে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই দুই ছেলেকে মানুষ করছেন মিনতি দেবী। দিন মজুরি করে যা উপার্জন হয় সেই টাকায় কোনো রকমে দিনপাত করেন তারা। এদিকে টিনের তৈরি ঘরে চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা ঠিক করার মতো অর্থ তাদের কাছে নেই। এদিকে সরকারি প্রকল্পে লক্ষ্মীর ভান্ডার পেলেও ছেলেদের পড়াশোনার পেছনেই খরচ হয়ে যায় বলেই জানিয়েছেন মিনতি দেবী। তাই প্রশাসন কিংবা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।