বর্ধমানের সদরঘাটে ছট পুজো উপলক্ষে জেলা পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

পূর্ব বর্ধমান: আগামী শনি ও রবিবার ছটপূজোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তার আয়োজন করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ এবং সদর ঘাট ছটপূজো ওয়েলফেয়ার সমিতি ।  ছটপূজোর জন্য বর্ধমানের দামোদর নদের সদরঘাট এলাকা ঘুরে দেখলেন জেলা পুলিশ সুপার সহ জেলা পুলিশের এক ঝাঁক কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন ডিএসপিহেড কোয়ার্টার, এসডিপিও, সি আই  এবং কয়েকটি থানার আইসি ও ওসিরাও। 

উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের ২৭ টি ছটপুজো কমিটির সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন সদরঘাট ছটপুজা ওয়েলফেয়ার সমিতি। বর্ধমান শহরের মেহেদিবাগান রামাশিস হিন্দি উচ্চবিদ্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা, সংগঠনের সভাপতি শম্ভুনাথ দাস, সম্পাদক নেপাল রাউৎ, চেয়ারম্যান গিরিজা শঙ্কর গুপ্তা, রাজেশ সাউ সহ অন্যান্য সদস্যগণ। সমিতির চেয়ারম্যান গিরীজা শঙ্কর গুপ্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই সদরঘাটে দামোদর নদীর পাড়ে ছটপুজো করতে অসংখ্য মানুষ আসেন। তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়ে কাজ করে সদরঘাট ছটপুজো সমিতি। যাঁরা পুজো দিতে আসেন তাঁদের পাশাপাশি বহু মানুষ সমবেত হন সদরঘাট এলাকায় ছটপুজো দেখতেও। তিনি জানিয়েছেন, এবছর ছটপূজোকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এলাকা পরিষ্কার করা, ব্যারিকেড তৈরী, ওয়াচ টাওয়ার তৈরী এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্তা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গিরীজা গুপ্তা জানিয়েছেন, ২ নভেম্বর বিকেল থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ সদরঘাটে উপস্থিত হন। দুচাকার গাড়ি ছাড়া ছোট-বড় প্রায় আড়াই হাজার গাড়ি এখানে আসে। সমস্ত সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি তাঁদের ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ১৫০ এনসিসি সদস্য সদরঘাটে উপস্থিত থাকেন। তিনি জানিয়েছেন, সদরঘাট ছাড়াও বর্ধমান শহরের ২২ জায়গার পুকুর ও বাঁকা নদীর ১০-১২ টা ঘাটে ছটপুজো হয়ে থাকে। 

পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশভসুপার ভাস্কর মুখার্জী জানিয়েছেন, ছটপুজোর দিন সদরঘাটে নিরাপত্তা এবং যানজট নিয়ন্ত্রণের বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই এদিন এলাকা পরিদর্শন করা হল। বড় এবং ছোট গাড়ির জন্য আলাদা পার্কিং ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছোট গাড়ির জন্য করা হচ্ছে ওয়ান ওয়ে সিস্টেম। ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। দামোদর নদীর গভীর এলাকায় যাতে কেও না যেতে পারে সেটা রুখতে ব্যারিকেড তৈরী করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রতিনিধিরাও ওই দুই দিন সদরঘাটে উপস্থিত থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *