কুখ্যাত চেনকিলার কামারুজ্জামান এর শাস্তি ঘোষণা
চেন কিলার কামরুজ্জামান সরকারের শেষ শিকার ছিল সোমা সিং নামের এক দশম শ্রেণীর ছাত্রী। কালনা থানার সিঙ্গারকোন গ্রামে গত ২০১৯ সালের ৩০ মে বৈকালে সোমা সিংকে বাড়িতে একা পেয়ে কামরুজ্জামান অভিযান চালায় | প্রথমে সোমাকে মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান, পরে গলায় চেন পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা শেষে ধর্ষণ করে সে। তারপর লুটপাট চালিয়ে সেখান থেকে লাল মোটর সাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের এই অবস্থা দেখার পর সোমাকে প্রথমে কালনা হাসপাতাল পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ভেন্টিলেশন রেখে সেখানেই তার চিকিৎসা চলাকালীন ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। কালনা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবার পর মানুষের একটাই দাবি ছিল — ওর যে প্রাণ কেড়েছে, তার যেন কঠোর সাজা হয়। কেরলে শ্রমিকের কাজে যাওয়া, ভাঙা-চোরা লোহা ও গুলের ব্যবসা করেও আয়ে পোষাচ্ছিল না কামারুজ্জামানের। শেষে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে একটার পর একটা মহিলা খুন করে তাদের সর্বস্ব লুঠ করে নেওয়াই তার জীবিকা হয়ে উঠেছিল ।
গত ৩ জুন কামরুজ্জামান গ্রেপ্তার হওয়ার পর কালনা থানায় এসে সাংবাদিক সন্মেলন করেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান– বিগত কয়েক মাসে সে কালনা সহ সংলগ্ন বলাগড়, পাণ্ডুয়া, মেমারি, মন্তেশ্বর প্রভৃতি থানাতে ১৩ টি অপরাধের ঘটনা ঘটিয়েছে। যে কথা ধৃত কামরুজ্জামান নিজের মুখেই স্বীকার করে। পূর্বে ২০১৩ সালে আরো তিনটি অপরাধ ঘটানোর কথাও সে কবুল করে। নাদনঘাট থানার নসরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চর-গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই সে জেল হেফাজতে রয়েছে। সেখান থেকেই বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত ও ছাত্রী খুনের মামলার শুনানি চলছিল। শুনানি শেষে ছাত্রী হত্যা মামলায় সোমবার কামরুজ্জামান এর শাস্তি ঘোষণা করেন বিচারপতি।