কাঁথিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট অপর্যাপ্ত বলে অভিযোগ

সারা রাজ্যে ডেঙ্গু অাক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বুলবুলের পরে পরিস্থিতি আরো ভয়ানক রূপ নিয়েছে।সঙ্কটময় পরিস্হিতিতে মহামাণ্য কলকাতা হাইকোর্টকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে গচ্ছে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গু অাক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে প্যাথলজিকাল পরীক্ষায় ৫২২ জনের রক্তপরীক্ষায় প্রায় ৯৮ জনের রক্তে ডেঙ্গু হদিশ মিলেছিল। তবে গত ২৯ শে অক্টোবর থেকে ৯ ই নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু কীট না থাকায় হাসপাতালে কোন ডেঙ্গু পরীক্ষাই হয়নি। সীমাহীন ব্যয়ে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেকজনক। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের কোন হেলদোল নেই। ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কীটের অভাবে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল সুপার সপ্তাহে দুদিন মঙ্গলবার ও শনিবার ডেঙ্গু কীট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।বাকী দিনগুলিতে বেশী ব্যায়ে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের উপরেরই রোগীর রক্তপরীক্ষার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে।
দক্ষিন কাঁথির বিধায়ক তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে নির্বিকার।পর্যাপ্ত ডেঙ্গু কীট সরবরাহ সহ স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ই-মেল বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।
মামুদ হোসেন ক্ষোভের সঙ্গেে বলেন,”কাঁথি প্রশাসনিক জেলা হওয়া তো দূরঅস্ত, নন্দীগ্রাম ব্লক এলাকায় নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার অধীনে কাঁথি মহকুমাকেও থাকতে হচ্ছে।আমাদের এটাও এক লজ্জা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *