লকডাউনের জেরে সাংহাইয়ে হাহাকার, শহর জুড়ে শ্মশানের নীরবতা
চিনের সাংহাইয়ে ৪ সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই লকডাউনের জেরে রীতিমতো চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
চিনের সাংহাইয়ে ৪ সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই লকডাউনের জেরে রীতিমতো চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে শহরে যেন শ্মশানের নীরবতা বিরাজ করছে। মিলছেনা কোন সাধারণ পরিষেবা। শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা যাচ্ছে না। ফলে চরম অসন্তুষ্ট এখন সেই শহরের বাসিন্দারা। লকডাউনের জেরে ঘরবন্দি থাকার কারণে মানুষের দুর্দশার দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাহিদা অনুযায়ী কুরিয়ার কোম্পানিগুলোর ডেলিভারি দিতে পারছে না। সবজি, চাল, তেল, নুডলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না সুপারমার্কেটে। জিনিসপত্রের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পণ্যের অভাবে অনলাইনে খাবারের দোকানগুলো ডেলিভারি দিতে পারছে না। শুধু সাংহাই নয়, বেইজিংয়েও করোনা আতঙ্ক বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনে কোটি কোটি মানুষের করোনা টেস্ট হবে বলে জানা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাংহাইয়ে ১৯ হাজারের বেশি নতুন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।
ভারতের ১২ টি রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে গত সপ্তাহে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। দেশজুড়ে গত এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক জায়গায় করোনার গ্রাফ বাড়ছে। বর্তমানে দেশে সংক্রমণের হার ০.৮৪ শতাংশ। তারই মাঝে বর্তমানে চিনের সাংহাইতে কড়া লকডাউন। খাবারদাবার কিনতেও বাড়ি থেকে বের হওয়া বারণ। শহরজুড়ে জারি কড়া লকডাউন। সাংহাই বন্দর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর। সেখানেও জারি হয়েছে বিধিনিষেধচিনের পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে ভারতকেও।