বর্ধমান শহরের ২২নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস তালা বন্ধ
দলের ওপরতলার কোনো মদত না পেয়ে অবশেষে তালা বন্ধ হয়ে গেল বর্ধমান শহরের ২২নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের একটি পার্টি অফিস। ক্ষমতাসীন দলের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দলের ওপরতলার কোনো মদত না পেয়ে অবশেষে তালা বন্ধ হয়ে গেল বর্ধমান শহরের ২২নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের একটি পার্টি অফিস। ক্ষমতাসীন দলের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেউ কেউ এই ঘটনায় দলের গোষ্ঠী কোঁদলের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। জানা গেছে, ২০০৩ সালে বর্ধমানের ২২নং ওয়ার্ডের আলমগঞ্জ এলাকায় ধনঞ্জয় রায়ের সঙ্গে ৩ বছরের চুক্তিতে তাঁর একটি ঘরকে পার্টি অফিস হিসাবে ভাড়া নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ধনঞ্জয় রায়ের কাকা শংকর রায় এই অফিসের নেতৃত্বে ছিলেন। ৩বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর এতদিন ওই ঘরেই পার্টি অফিস চলেছে।
শংকরবাবু জানিয়েছেন, ৭দিন আগে তাঁর ভাইপো ঘর ছেড়ে দেবার কথা বলে। এরপরই তাঁরা ঘর ছেড়ে দেন। যথারীতি ধনঞ্জয় রায় ওই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। শংকরবাবু জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই পার্টি অফিস থেকেই দলের কাজকর্ম করা হয়েছে। সমস্ত নির্বাচনেই এই অফিসকেই বুথ অফিস করা হয়েছে। কিন্তু এই অফিস বন্ধের বিষয়টি উপরতলার নেতৃত্বকে জানালেও তাঁরা তাতে আমল দেননি। স্বাভাবিকভাবেই দলের ওপরতলার নেতারা আমল না দেওয়ায় তিনি ঘর ছেড়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, আচমকাই পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেবার ঘটনায় দলেরই গোষ্ঠী কোঁদলকেই দায়ী করেছেন দলের কর্মীরা। এমনকি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দলের চালু পার্টি অফিসকে এভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার তৃণমূল কর্মীরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, দলের ওপরতলার নেতাদের এব্যাপারে ভাবা উচিত। কারণ ২২নং ওয়ার্ডে দলের পার্টি অফিস থাকা জরুরী। অন্যদিকে, এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু জানিয়েছেন, তৃণমূল দলে কোনো গোষ্ঠী কোঁদল নেই। এখন বিজেপি, সিপিএম উঠে গেছে। সবাই এখন তৃণমূল। নিজেদের মধ্যে কিছু সমস্যা মনোমালিন্য থাকতেই পারে। কিন্তু তাকে গোষ্ঠী কোঁদল বলা যাবে না। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে দলের নেতারা বিষয়টি নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবেন।