আজ রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে রইলো কিছু কথা

১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতা সারদা দেবীর কোল আলো করে ভূমিষ্ঠ হন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতা সারদা দেবীর কোল আলো করে ভূমিষ্ঠ হন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ সোমবার তাঁর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবে আয়োজিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মতো শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন কবি গুরুকে। এই দিনটি আপামর বাঙালি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিশ্ব কবিকে।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যদর্শন যুগ যুগ ধরে মানুষকে ছুঁয়ে গিয়েছে, যার রেশ চিরন্তন। আর এমন এক ব্যক্তিত্ব কার্যত বাঙালি জীবনের মহীরুহ হয়ে উঠেছেন। বাঙালির মনে- প্রাণে, সুখে-দুঃখে, উৎসবে সবেতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থাকেন। তাই তো ২৫ শে বৈশাখ এতটা কাছের এবং গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রতি বছর প্রায় সপ্তাহব্যাপী চলে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন। এটি যেন কোনও উৎসবের থেকে থেকে কোনও অংশে কম না। বিগত দুবছরে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিবস পালনে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা পরিস্থিতি।

 

কবি স্মরণে সকাল থেকে হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিংবা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শুরু হয়েছে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করা। কখনো কেউ লিখছেন, “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবস শর্বরীব সুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি”। কখনো আবার “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।” এভাবে ভার্চুয়ালি চলছে গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিবস পালন।

 

কেবল বাঙালি নয়, আপামর ভারতবাসীকে যিনি বারবার মুগ্ধ করেছেন তাঁর লেখনীতে, গানে, কবিতায়, দর্শনে, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ দিনভর তাঁরই লেখা গান, গল্পে, কবিতায় কবি-স্মরণ। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী  রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীত রচয়িতা-সুরকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী,, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, সংগীতশিল্পী ও দার্শনিক। নতুন পথের নয়া দিগন্ত রচিত হয়েছিল তাঁর লেখণীতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *