এবার আসানসোল স্টেশনে উঠতে বা নামতে গেলে দিতে হবে অতিরিক্ত ভাড়া

ভবিষ্যতে আসানসোল স্টেশনে নামা এবং এই স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে রেল যাত্রীদের। স্টেশনের ডেভেলপমেন্ট চার্জ বাবদ এই ভাড়া লাগবে। কেন এই অতিরিক্ত ভাড়া? উত্তরে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘ভারতবর্ষের বেশ কিছু স্টেশনকে ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্ট্যান্ডার্ড’ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।যেমন ভোপাল। এই স্টেশনে পাঁচতারা হোটেল-সহ মল এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যাত্রীরা পাচ্ছেন। এছাড়া দেশের আরও কয়েকটি স্টেশনে এই সুবিধা চালু হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র আসানসোল স্টেশনটিকেই এভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর এই স্টেশন থেকে যারা ট্রেন ধরবেন বা যারা এসে নামবেন তাঁদের ‘ডেভেলপমেন্ট ফি’ বাবদ টিকিটের সঙ্গে একটা অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে। যারা অন্য জায়গা থেকে ট্রেনে করে স্টেশন ছুঁয়ে বেরিয়ে যাবেন তাঁদের কোনও অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে না। এককথায় এই স্টেশনে যাত্রা শুরু বা যাত্রা শেষ করলেই এই অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে।’এটা কি ঘুরপথে রেলের ভাড়া বাড়ানো নয়? একলব্যের দাবি, ‘একেবারেই নয়। কারণ সব যাত্রীদের তো এটা দিতে হচ্ছে না।
আর রাতারাতি রেলের প্রতিটি স্টেশনকেই এভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট কিছু যাত্রীদের থেকেই এই অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হবে এবং সেটা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার ভাড়া।’ তবে যে সমস্ত স্টেশনকে এখনও পর্যন্ত এই পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে সেখানে এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু হয়নি বলেই জানা গেছে। একলব্য বলেন, ‘সবে মাত্র এই সংক্রান্ত অর্ডার হয়েছে। ভাড়া নেওয়ার কাজ এখনও শুরু হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘প্যাসেঞ্জার বা সেমি হাইস্পিড ট্রেনের যাত্রীদের লাগবে ১০ টাকা, হাইস্পিড ট্রেনের স্লিপার ক্লাসের জন্য ২৫ টাকা এবং হাইস্পিড ট্রেনের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোচের জন্য ৫০ টাকা। এই ভাড়া যাঁরা এই বিশেষ স্টেশনগুলি থেকে ট্রেনে উঠবেন তাঁদের জন্য। যাঁরা এই স্টেশনে নামবেন তাঁদের জন্য টাকার অঙ্কটা অর্ধেক হয়ে যাবে। এছাড়া প্ল্যাটফর্ম টিকিটের ভাড়া এই মুহূর্তে অন্য কোথাও কিছু বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই।’