স্কুলগুলির থেকে রিপোর্ট চাইলো রাজ্য

বুধবার ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল (School) খুলে গেছে। করোনা বিধি মেনে ক্লাসও শুরু হয়েছে। গত দু’দিনে স্কুলে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিও ছিল দেখার মতো। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে সঠিক সময়েই স্কুল শুরু হচ্ছে। তবে এরপর থেকে প্রতিদিনে ঠিক সময় ক্লাস শুরু হচ্ছে কিনা, নির্ধারিত সূচী মেনেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে কিনা, শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উপস্থিতি কত, সেসব বিষয়ে নজরদারি চালাবে রাজ্য।তারজন্য স্কুলগুলিকে প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

স্কুল খোলার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। নবম থেকে দশম শ্রেণির জন্য সকাল ৯টা থেকে ১১টা অবধি ক্লাস হবে, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি বেলা ১২টা থেকে ৩টে অবধি ক্লাস হবে। মাঝের এক ঘণ্টা সময়ে করোনা সচেতনতার পাঠ দেওয়া হবে। স্কুল চলার সময় করোনা বিধি মেনেই ক্লাস নেওয়া হবে। তাছাড়া স্কুলে আসার সময় সাড়ে ৯টা বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই পড়ুয়া ও শিক্ষকদের স্কুলে চলে আসতে হবে।

সরকারের এই নির্দেশিকা নিয়ে শুরুতে আপত্তি ছিল অনেক স্কুলের। বিশেষ করে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে স্কুলে হাজিরা দেওয়া যাবে কিনা সে নিয়ে সংশয় ছিল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের। অনেকেই আপত্তি করেছিলেন। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকারা সঠিক সময় স্কুলে পৌঁছচ্ছেন কিনা, সকলে উপস্থিত থাকছেন কিনা সে ব্যাপারে নজরদারি চালাতে চায় রাজ্য। স্কুলগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, প্রতিদিন কখন স্কুল শুরু হচ্ছে, কত সময় ধরে ক্লাস চলছে, শিক্ষক-পড়ুয়াদের উপস্থিতি কত তার প্রতিদিনের হিসেব গুগল ফর্মে ভরে ই-পোর্টালে আপলোড করতে হবে।

উপস্থিতি কম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর আবেদন ছিল, স্কুল খুললে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টা নিয়ে চিন্তা থেকেই যাবে।অনেক অভিভাবকই এখন স্কুল খোলার বিপক্ষে। কারণ বাচ্চাদের টিকাকরণ শুরু হয়নি, তাছাড়া স্কুলে আসার সময় সাড়ে ৯টা বলা হয়েছে। অনেক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীই ওই সময়ের মধ্যে পৌঁছতে পারবেন না।

কিন্তু মামলাকারীর আবেদনকে অযৌক্তিক বলে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানান, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীরা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দেশের প্রায় সব রাজ্যেই স্কুল খুলে গিয়েছে। সিবিএসই, আইসিএসসি পরীক্ষাও ঘোষণা করা হয়েছে। তাহলে এ রাজ্যে স্কুল খুলবে না কেন। বিশেষ করে যখন করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে ক্লাস হবে, স্কুল কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা নেবেন, পড়ুয়ারা কখন স্কুলে আসবেন ইত্যাদি সব বিষয়েই বিস্তারিত গাইডলাইন দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সরকারি নির্দেশ যাতে মেনে চলা হয় সে ব্যাপারটাও খতিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *