২ দিনে মৃত্যু ১১ , করোনায় মৃতের সংখ্যা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হতেই যখন স্কুল খোলার দাবি উঠছে ঠিক তখন পূর্ব বর্ধমান জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। গত দু’দিনে এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা হঠাত্‍ করে বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর।আধিকারিকরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউয়ে অনেকেই আক্রান্ত হলেও সেভাবে মৃত্যুর সংখ্যা না বাড়ায় এতদিন বিষয়টি নিয়ে তেমন চিন্তা ছিল না। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তাতেই নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৫৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৮ জন। এই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এ’দিন পর্যন্ত এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫২০ জনের মৃত্যু হল বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরের ১০ দিন মৃত্যু হল ২১ জনের। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্টই উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই বর্ধমান শহর ও তার লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। মৃতদের বেশিরভাগেরই বয়স ৫০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। চিকিত্‍সকরা বলছেন, অন্য কোনও রোগে অসুস্থ এমন ব্যক্তিরা করোনা আক্রান্ত হলে তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ বিপজ্জনক হচ্ছে। তাই করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও তাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হবে না। মাস্কে মুখ ঢাকা, স্যানিটাইজার ব্যবহার-সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।

বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এখন বয়স্কদের ঘরের বাইরে পা রাখা উচিত নয়। সেই সঙ্গে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও দৈনিক ৫০০-র কাছাকাছি বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংখ্যাটা নেহাত্‍ কম নয়। যে কোনও সময় এই সংক্রমণ আবার অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। তাই কাশি-জ্বর-সর্দি-সহ করোনার যে-কোনও উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *