তিলজলার শিশুকন্যার ঘটনার বীভত্সতা
স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মাথায় ফুটো করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও জানা গেছে।
INTERNET :একঘণ্টা পরেও ফিরে এল না ১৫ মিনিটের আগেই বাড়ি ফিরে আসত যে মেয়ে।রবিবার সকাল ৯টা থেকে খোঁজ শুরু করেন ভীত মা-বাবা।পাড়ায় প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়ের খোঁজ শুরু,নির্দিষ্ট একটি ফ্ল্যাটেই বাইরে থেকে বন্ধ করা ছিল দরজা।শহরবাসী দেখতে পেল কলকাতা পুলিশের চূড়ান্ত গাফিলতি।রবিবার সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হয়েছিল কলকাতার তিলজলার মেয়ে।রাস্তার কুকুরকে ভয় পেয়ে আশ্রয় খুঁজতে ঢুকে গিয়েছিল পাশের ফ্ল্যাটে।
চিত্কার করার আগে ফ্ল্যাটেই তার মুখ বন্ধ করে দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় রান্নাঘরের সিলিন্ডারের সঙ্গে।ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলে নির্মম নির্যাতন।তিলজলা থানায় ছুটে আসতে থাকেন শিশুর বাবা। বারবার থানায় যাওয়ার কারণে তাঁকে প্রচণ্ড ধমক দেন থানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। সকাল ১২টার মধ্যে ৪ জন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে আসেন।এলাকায় খোঁজখবর শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার অনুরোধ জানান।
সিসিটিভি ফুটেজ তো চেক করেনইনি, উলটে যখন দেখলেন যে অলোক কুমারের ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ অথচ ভেতরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল এবং দরজা খুলতে বলা হলে বলেন তিনি রান্না করছেন। তখন একেবারেই জোর করেননি পুলিশ কর্মীরা দরজা খোলানোর জন্য।থানায় ফিরে যান তাঁরা। রাত ৯টা নাগাদ সন্দেহ হওয়ায় অলোকের ফ্ল্যাটের দরজা খোলান পুলিশ।
রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে বস্তায় বন্ধ করে রাখা শিশুর দেহ। ঘাড়ে, কানের পাশে, হাতে, শরীরের সর্বত্র মোটা ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে ফুটো ফুটো করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মাথায় ফুটো করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও জানা গেছে।অলোককে গ্রেফতার করে থানায় জেরা করার সময় অলোক খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যায়।
‘আমার মেয়েটার শরীরের এমন কোনও জায়গা ছিল না, যেখানে আঘাত করেনি।’ কথাটা বলতে গিয়েই ডুকরে কেঁদে উঠলেন তিলজলার আট বছরের শিশুকন্যার আত্মীয়। সদ্য মেয়েকে হারিয়েছেন তিনি। এটুকু বাচ্চার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কেঁপে উঠেছে গোটা বাংলা। তদন্তে নেমে শিউরে উঠেছেন পুলিশকর্তারাই।মাথায় এক আঙুল মতো ফুটো করে দিয়েছে। কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা ছিল। জিভটাও বেরিয়ে গিয়েছিল।”শিশুটির সারা শরীরে সুচ জাতীয় কিছু জিনিসের ক্ষত।
তিলজলা এলাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা শহরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কলকাতা পুলিশকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পৌঁছে দেয়। সোমবার বিকেলে পার্ক সার্কাস , বন্ডেল গেট, পিকনিক গার্ডেন, তিলজলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কলকাতা পুলিশের তরফে রেফ ও কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে রুট মার্চ শুরু হয়।