শিল্পীর সম্মান পেলেন না শান্তিময় ঘোষ

টানা চার বছর আকাশবাণী রেডিওতে গান গেয়েও শিল্পীর সম্মান পেলেন না বর্ধমানের শান্তিময় ঘোষ

টানা চার বছর আকাশবাণী রেডিওতে গান গেয়েও শিল্পীর সম্মান পেলেন না বর্ধমানের শান্তিময় ঘোষ।অবশেষে আকাশবানী রেডিওর কর্মীদের দূরব্যবহারের ফলে কোলকাতা আকাশবানী রেডিওর গান ছেড়ে চলে আসেন সংগীত শিল্পী।সংগীত শিল্পী শান্তি ময় ঘোষ শুধু গানই গান না। তিনি একজন সংগীত রচয়িতা এবং সুরকার।এই সংগীত রচয়িতার লেখা এবং সুরে গান গেয়েছেনহৈমন্তী শুকলা, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, অনুপ ঘোষালের মতসংগীত শিল্পীা।শান্তিময় বাবু আধুনিক, আধ্যাত্মিক আদিবাসী, রাজনৈতিক সহ প্রায় সাত হাজার গান লিখে ও সুর প্রদান করেছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েও গান লেখা ও সুর প্রদান করেছে তিনি।ইতিমধ্যে প্রায় সাত হাজার গান লিখেছেন শিল্পী।

 

সংগীত শিল্পী দের সুবিধার্থে শিল্পীর লেখা বইয়ে সরলিপিও উল্লেখিত। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে সমস্ত সকল শ্রেনীর সংগীত শিল্পী দের সম্মানিত করাহলেও সাত হাজার গান লিখেও শিল্পীর সম্মান থেকে বঞ্চিত বর্ধমানের শান্তিময় ঘোষ।শান্তিময় বাবু বলেন ২৮ বছর বয়স থেকে তিনি গান লেখা ও সুর প্রদান করেন। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কোলকাতা আকাশবানী রেডিওতে গান গাইতেন।পাশাপাশি গান লেখা ও সুর প্রদান করতেন।কিন্তু আকাশবাণী রেডিওর কর্মীদের দূরব্যবহারের কারনে তিনি আকাশবনী ছেড়ে চলে আসেন।সাত হাজার গানের মধ্যে আছে আধুনিক,আধ্যাত্মিক,জিশু খ্রীষ্ট, রামকৃষ্ণ,মা সারদা স্বামীজি,শ্রীকৃষ্ণ,বাবা লোকনাথ এবং মহম্মদের গান।

 

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েও গান লিখে সুর দিয়েন শান্তিময় বাবু।শান্তিময় বাবুর স্ত্রী শঙ্করী ঘোষ বলেন উনি বড়ো গুনি লোক ছিলেন।আমি বিয়ের আগে থেকেই জানতাম।তবে এতো গান লিখে ও সুর দিয়েও কোন সম্মান পেলেন না। ওনার সম্মান পাওয়া দরকার ছিলো।শান্তিময় বাবুর ছেলে সৌম্য ঘোষ বলেন ২৮ বছর বয়স থেকে বাবা গান লিখার পাশাপাশি সুর দিতেন। প্রথমদিকে বাবা আধুনিক গান লিখতেন পরে আধ্যাত্মিকের দিকে ঢুকে গেলেন। ২০০৮ সালে তৃণমূল নেতা শুসান্ত ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কিছু গান লেখার বিষয়ে বলেন।শুসান্ত ঘোষের কথামতো তিন দিনের মধ্যে ১৬ টি গান লিখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *