নিজের বিয়ে আটকে “বীরাঙ্গনা” পুরস্কার প্রাপ্ত নাবালিকা রুমা সিং কে সম্মাননা সংকল্প ফাউন্ডেশনের

আজ সকাল ১০ টায় মেদিনীপুরের সংকল্প ফাউন্ডেশন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিষড়া গ্রামে রুমা সিং এর বাড়ী গিয়ে তার বীরত্ব কে সম্মাননা জানায়। ১৯২৯ সালে পরাধীন ভারতে আইনে বলা আছে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। তবুও আমদের দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও এই বিয়ের মানুষ সচেতন নয় । জানে না কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিলে কি সমস্যা হবে। চল রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এর বহু নাবালিকা শিক্ষার আলোয় সচেতন না হয়ে কম বয়সে বিযে করেছে যা ” সমাজের বুকে এক অভিশপ্ত ঘটনা”।

তাই সেই বিযে কে রুখে সাহসী প্রতিবাদ দেখাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিষড়া গ্রামের উপজাতি সম্প্রদায়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রুমা সিং । গোপনে পাত্রস্থ করে বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চেয়েছিলেন মেয়ের মা ও তার পরিবার। পিতা বন্দি সিং তিন বছর আগে মারা গেছে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন পরিবারে তার মা কিভাবে তিন সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালাবেন তাই মেয়ে রুমা সিং এর বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রুমা সিং গোপনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ে ভেঙে দেন।

আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস উপলক্ষে শনিবার পশ্চিমবঙ্গ নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে বীরাঙ্গনা পুরস্কার দেন। তাই রুমা সিংকে সংকল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ “বীরাঙ্গনা নারী” সম্মাননা দেওয়া হয়। মোমেন্টো, উত্তরীয়, ফুল, মিষ্টি, ৫০ কেজি চাল তুলে দেওয়া হয়। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পিন্টু সাউ, সম্পাদিকা পারমিতা সাউ, ডিরেক্টর ডঃ শান্তনু পাণ্ডা, প্রধান উপদেষ্টা গোপাল সাহা ও অরিত্র। রিপোর্ট- প্রবীর মাহাত।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *