মালদা :- পদ্মশ্রী পুরস্কার সন্মানিত গুরুমা কমলি সরেন শুক্রবার মালদা রেল স্টেশন থেকে গুরুমা কমলি সোরেনকে নিয়ে মালদা শহর জুড়ে মিছিল করল আরএসএসের ছাত্র সংগঠন। মালদা রেল স্টেশন থেকে এই মিছিল শুরু করে গোটা মালদা শহর পরিক্রমা করে। উল্লেখ্য চলতি মাসের গত ৯ তারিখ দিল্লি রাষ্ট্রপতি ভবনে গাজোলের বাসিন্দা গুরুমা কমলী সোরেনকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হয়। এরপর শুক্রবার মালদায় আসেন তিনি। তাকে সংবর্ধনা জানাতে এবং পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত গুরু মাকে নিয়ে শহরে মিছিল করে আরএসএস এর ছাত্রসংগঠন।
উল্লেখ্য গুরুমা কমলি সরেনর বাবা-মা নাম রেখেছিলেন কমলি। কিন্তু মালদহের মানুষ তাঁকে চেনেন ‘গুরুমা’ হিসেবে। সরেন পরিবারের সেই মেয়েই এ বার ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়। সমাজসেবার জন্য তাঁকে সম্মানিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিকের স্বীকৃতি গ্রহণ করেন কমলি সরেন। সে খবর চাউর হতেই রাতারাতি গোটা মালদহ জুড়ে মুখে মুখে ফিরছে তাঁর নাম। জেলায় এমন কৃতিত্ব আর কারও নেই যে! তবে ঠিক কী কারণে তিনি পদ্মশ্রী পাচ্ছেন তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।


গাজলের ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোদালহাটি এলাকায় রাজেনবাবার আশ্রমই কমলির ধাম। ছোটবেলায় অসুখবিসুখ লেগেই থাকত। সে সবের ঝুক্কি সামলাতে না পেরে তাঁকে আশ্রমে দিয়ে গিয়েছিলেন বাবা-মা। সেখানেই বড় হওয়া কমলির। পড়াশোনা বেশি দূর না এগোলেও, আশ্রমিক পরিবেশে ছোট বয়সেই ধর্মের প্রতি আগ্রহ বাড়ে তাঁর। ধর্মচিন্তা, ধর্মকথাই ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠতে থাকে। আশ্রমেই দীক্ষা হয়। আর তখন থেকে হিন্দু ধর্মের ‘মহত্ব’ মানুষের মধ্যে সঞ্চার করাই তাঁর লক্ষ্য হয়ে ওঠে। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গিয়েছে এখন। ধর্ম প্রচারই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান লাগিয়েদেয় সমাজের কাজে ।
