মাধবডিহি থানা এলাকায় ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ
মাধবডিহি থানা এলাকায় ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানান, তদন্তে নেমে অতি অল্পদিনের মধ্যেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি টিম এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে।তাদের আদালতে পেশ করা হবে। তাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্তের বাকি কাজ সমাধান করা হবে। ধৃতরা সকলেই যুবক। তারা সুপারি কিলার কি না, তাদের কী মোটিভ ছিল সবই তদন্ত এগোলে জানা যাবে বললেন তিনি।
এই চারজন বাইকে করে এসে ব্যবসায়ীকে আক্রমণ করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর। মৃতের নাম হামিদ আলি খাঁন (৪৬)। দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তার পথ আটকায় ও সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামিদ বাধা দিলে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলে। ওই সময়ে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। অন্যান্য দিনের মতো রাত ১০ টার পর মাধবডিহির ছোটবৈনান বাজারে হামিদ আলি খানের দোকান বন্ধ করে বাইকে চেপে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন।
ব্যবসার টাকার একটি ব্যাগও তার সঙ্গে ছিল। ব্যাগে দু লক্ষের মত টাকা ছিল।পথে মাধবডিহিতে ছোট একটি কাপড়ের দোকান ও লটারি টিকিটের দোকান ছিল তাঁর। ওই দিন রাতে দিঘিরকোন এলাকায় বাইকে চেপে আসা দুষ্কৃতীদের দল হামিদের পথ আটকে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিতে যায়। হামিদ বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা তার কোমরে গুলি চালায়। রক্তাত অবস্থায় হামিদ রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। তখন দুষ্কৃতীরা হামিদের কাছে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে এই খবর পেয়ে মাধবডিহি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রক্তাত অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে পুলিশ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক হামিদ আলি খানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।এই ঘটনা জানাজানি হতেই মাধবডিহি থানা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।দুষ্কৃতীদের সন্ধানে রাতেই মাধবডিহি সহ আশপাশের সব থানা এলাকার বিভিন্ন সড়কপথে শুরু হয় পুলিশী তত্পরতা। আর এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হল এই চারজনকে। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।