কালীপূজায় বিসর্জন নিয়ে নির্দেশিকা জারি নবান্নের
কালীপুজো, দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে এ রাজ্যে (Kali Puja)। এবার বিসর্জন বিধি নিয়েও কড়াকড়ি করছে নবান্ন। রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন কোভিড বিধি মেনেই করতে হবে। বিসর্জনের অনুষ্ঠান যেন শান্তিপূর্ণ হয়।স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হবে। দাঙ্গা, অশান্তির ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে।
আগামী ৪ নভেম্বর কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ১৩ নভেম্বর। বিসর্জনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে— দুর্গাপুজোর সময়েই জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল রাজ্যে। দুর্গাপুজো শান্তিপূর্ণভাবেই উতরে গেছে। কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নাশকতা ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলায় সমস্যা ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
সেই কারণে যে য়ে এলাকায় পুজো হবে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে পুলিশকে। পুজো প্যান্ডল ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যে এলাকাগুলিতে সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ বেশি হয়, সেখানে নজরদারি বাড়াতে হবে। কোনওরকম অশান্তি বা দাঙ্গার ঘটনা যাতে না ঘটে তা খেয়াল রাখতে হবে পুলিশকে। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হবে।
বিসর্জনের ঘাটগুলিতে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। কালীপুজোর বিসর্জন হবে ৫ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে। জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের দিন ১৪ ও ১৫ নভেম্বর। প্রতিমা বিসর্জনের সঠিক সময় ঠিক করতে বলা হয়েছে। একই সময় সমস্ত ঠাকুর বিসর্জনের জন্য বের হলে ভিড়, জমায়েত বাড়বে। বিসর্জন নিয়ে গোলমালও শুরু হতে পারে। তাই পুজো কমিটিগুলিকে স্থানীয় থানার সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হবে। আলোচনা করেই সময় নির্ধারণ করতে হবে।