মালদায় গঙ্গা নদীতে ভাঙ্গন শুরু

মালদা:- কালিয়াচক-৩ ব্লকের বীরনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিনাবাজারে রবিবার থেকে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে গঙ্গা নদীতে।ইতি মধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়ি । সর্বস্ব হারিয়ে চূড়ান্ত অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ভাঙনদুর্গতরা। অনেকেই আবার নদীতে সবকিছু চলে যাওয়ার আগেই বাড়িঘর ভেঙ্গে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের এমন পরিস্থিতির দিনেও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্লক বা জেলা থেকে কোনোরকম সাহায্য মেলেনি।

বর্ষার মরশুমে কালিয়াচক-৩ ব্লকে গঙ্গার ভাঙন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। গত কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা এই ভাঙনে কয়েক হাজার মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। তারপরেও ভাঙনরোধে ফারাক্কা প্রজেক্ট এর তরফে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ভাঙনের হাত থেকে মুক্তিও মেলেনি। যদিও প্রতিবছর নিয়ম করে বিভিন্ন দলের নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায় সেরেছেন। কিন্তু অবস্থার বদল হয়নি। এবারেও বর্ষা শুরু হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে কালিয়াচক-৩ ব্লকের বীরনগর ১ পঞ্চায়েতের গঙ্গা পাড়ের কয়েকটি গ্রামে।

রবিবার সকাল থেকে গঙ্গার পাড় কাটতে শুরু করেছে চিনাবাজার এলাকায়। রবিবার প্রায় একশোর বেশী বাড়ী নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ভাঙনের প্রকোপ এতটাই বেশী ছিল যে অনেকেই ঘরের সামগ্রী বের করে আনতে পারেননি। প্রাণ হাতে করে কোনোরকমে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে এসেছেন। তবে ভাঙন রোধের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় গঙ্গা আরও বিপদ বাড়াতে পারে।

এমন আশঙ্কা থেকেই অনেকেই নদীর পাড়ে থাকা বাড়িঘর ভেঙ্গে নিচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙন চললেও ফারাক্কা বারেজ প্রজেক্ট এর তরফে কোনো হেলদোল নেই। রবিবারের আতঙ্কের পর জোটেনি সরকারি সাহায্য বা ত্রাণসামগ্রী। ফলে আগামীদিনগুলি কীভাবে কাটবে, সেই আশঙ্কাতেই রাতের ঘুম উড়েছে বহু মানুষের।
তবে খুব দ্রুত পলেথিন ও খাবার পৌছে যাবে যাবে এই সমস্ত মানুষের কাছে, আশ্বাস দিলেন বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *