স্ত্রীকে খুনের দায়ে জেল খাটছে স্বামী, “জীবিত” স্ত্রী রয়েছে প্রেমিকের সংসারে
স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী বর্তমানে জেল খাটছেন
স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী বর্তমানে জেল খাটছেন। কিন্তু আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসামাত্রই কার্যত হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন খুনের ঘটনায় তদন্তর দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা। বিহারের চম্পারণ জেলার বাসিন্দা হরিশ কুমারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ির লোকজন। হরিশ কুমার কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
তিন দশক আগে হরিশ কুমারের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ করেছিল যে, তাদের জামাই হরিশ কুমার ৫০ হাজার টাকা পণ চেয়েছিলেন। কিন্তু পণের টাকা দিতে না পারার কারণে তাঁদের মেয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন হরিশ বলে অভিযোগ। সেই পণ না পেয়ে মা-বাবা এবং ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন হরিশ। এই খুনের কাহিনী এবার অন্যদিকে মোড় নিল। যা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
হরিশের শ্বশুরবাড়ির লোকের উপর সন্দেহ করতে শুরু করে পুলিস আধিকারিকদের। তারপর থেকেই হরিশের শ্বশুরবাড়ির লোকের উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, হরিশের স্ত্রীর পরিবারের কয়েক জন সদস্য তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন। এর পরই তদন্তকারীরা হরিশের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ফোন ট্র্যাক করতে শুরু করেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁরা জানতে পারেন, মহিলা খুন হননি। প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে ওই মহিলা পাঞ্জাবের জালন্ধরে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই তথ্য সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিহার পুলিশ পাঞ্জাবের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পাঞ্জাব পুলিশের সহযোগিতায় ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত ওই মহিলার প্রেমিকের কোন হদিস পায়নি পুলিশ। প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।