‘গজোধর ভাইয়া’ রাজু রেখে গেলেন তাঁর হাস্যরসের পাঁচালি,বিদায় শ্রীবাস্তব
মৃত্যুর পর যমরাজ যদি আপনাকে নিতে আসে, তাহলে তিনি বলবেন ভাই, আপনি মহিষে বসুন।
মাস দুয়েক আগে জিম করতে করতে হঠাত্ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার পর একপ্রকার কোমায় চলে গিয়েছিলেন স্ট্যান্ড আপ কমেডি শিল্পী রাজু শ্রীবাস্তব।রাজু আগের তুলনায় সুস্থ হয়ে উঠছেন চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।জনপ্রিয় এই কমেডি শিল্পীর বুধবার সকালেই মৃত্যু হল । দিল্লি এইমসে ভর্তি ছিলেন তিনি। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে হারাল অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্রকে ভারতের কমেডি জগত ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘নমস্কার, এমনিই বসে রয়েছি। তাই সবাইকে একটা বার্তা দিতে এলাম। আপনারা জীবনে এমন একটা কাজ করুন, যাতে মৃত্যুর পর যমরাজ যদি আপনাকে নিতে আসে, তাহলে তিনি বলবেন ভাই, আপনি মহিষে বসুন।আজ রাজুর মৃত্যুর পর সেই ভিডিও ফের ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আর উঠলেন না রাজু শ্রীবাস্তব। লড়াই গেল থেমে। চলে গেলেন কমেডিয়ান। চোখে জল দেশবাসীর।গত ১০ অগাস্ট, এমনই এক বুধবার, দিল্লির এক জিমে ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে হার্ট অ্যাটাক হয়। ১৯৮০-র দশকে উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে তরুণ রাজু বাণিজ্যনগরীতে পা রাখেন। অভিনেতা হবেন, সেই আশা বুকভরা। কিন্তু হাতে বড় কোনও কাজ নেই।এদিকে বাড়ি থেকে আনা টাকাকড়িও শেষের পথে। দু’বেলা পেটে দানাপানি দেওয়ার জন্য, মাথার উপরে ছাপোষা ছাদের জন্য ট্যাক্সি চালাতে শুরু করেন রাজু।
১৯৮৮-এর ‘তেজাব’, ১৯৮৯-এর ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ১৯৯৩-এর ‘বাজিগার’-এ কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখা গিয়েছিল রাজুকে।১৯৯৪ সালে কমেডি শো-তে কাজ করা শুরু সেই থেকে। তিনি স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ফিরে তাকাতে হয়নি আর রাজুকে।আরও কত মানুষকে হাসানো বাকি ছিল।আরও হয়তো ‘গজোধর ভাইয়া’র সৃষ্টি করার ছিল তাঁর। কত কাজ বাকি রেখে মানুষকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন রাজু।বিদায় শ্রীবাস্তব।