ফের শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা বাবুল সুপ্রিয়র
মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে আনুষ্ঠানিক ভাবে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এর পরই তিনি টার্গেট করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পরিবারকে। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে ফের নাম না করে একই ইস্যুতে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ।
নিজের উদাহরণ সামনে রেখে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদ সদস্যকেও ইস্তফার পরামর্শ দিয়েছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল। বাবুল বলেন, ‘কয়েক মাস আগে পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন। রাজনীতির বাইরে তিনি আমার বন্ধু। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে তাঁকেও তো আমার সম্পর্কে কঠোর বাক্য প্রয়োগ করতে হয়। তবে, শুভেন্দুর উচিত তাঁর বাবা ও ভাইকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার পরামর্শ দেওয়া। কারণ তাঁরা তো আর তৃণমূলে নেই’।
বাবুলের কটাক্ষের জবাবে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু বলেছিলেন, বাবুল আগে বলুন পিসি-ভাইপোর সঙ্গে কী ডিলটা হয়েছে। আগে বাবুল ডিলটা প্রকাশ করুন, তারপর তাঁর সব কথার জবাব দেবেন তিনি।
শুভেন্দুর প্রশ্নের জবাব ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দিয়েছেন বাবুল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নাম না করে তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপি থেকে যিনি আমাকে নৈতিকতার জ্ঞান দিচ্ছেন তাঁকে বলব, নিজের বাড়ির অন্দর থেকে পাঠটা শুরু করতে। আর শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে আমি যা করতে পেরেছি তা আগে করে দেখাতে তার পর যা বলার বলতে’।
বিজেপি-কে ‘কাঁকড়ায় ভরা একটি দল’ হিসেবে উল্লেখ করে বাবুল লেখেন, ‘যারা নিজেদের প্রকৃত কর্মীদের সঙ্গে নির্লজ্জ বিশ্বাসঘাতকতা বেইমানি করে আর বহিরাগতদের চার্টার্ড প্লেনে চড়ায়, সেই বিজেপির জন্য ২০১৪ থেকে যেটুকু করেছি তাতেও আমি যেমন গর্বিত, আজ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আড়াই বছর বাকি থাকতেও বিজেপির টিকিটে বিজেপির জন্য জেতা সাংসদ পদ নির্দ্বিধায় ছেড়ে দিতে পেরেও আমি সমান গর্বিত’।পাশাপাশি আসানসোলবাসীর উদ্দেশে বাবুলের বার্তা, ‘আপনারা বিজেপির ধান্দাবাজদের কথায় কান দেবেন না। আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ‘সব ভুলে বাংলার মানুষের কাজ মন দিয়ে করতে’ বলেছেন বলেও জানিয়েছেন বাবুল।