গননা কেন্দ্র থেকে ব্যালট বক্স ছিনতাই করে পালাবার সময় আটক এক মহিলা

বর্ধমানের জামালপুরে ভোট গননা কেন্দ্র থেকে ব্যালট বক্স চুরির চেষ্টায় আটক এক মহিলা।,

বর্ধমানের জামালপুরে ভোট গননা কেন্দ্র থেকে ব্যালট বক্স চুরির চেষ্টায় আটক এক মহিলা।, পঞ্চায়েতের ভোট বাক্স গণনা চলার সময় হঠাৎই এক মহিলা দুবান্ডিল ব্যালট ছিনতাই করে দৌড়ে পালায় সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং মহিলা পুলিশ তাকে তল্লাশি চালিয়ে দু বান্ডিল ব্যালট পেপার উদ্ধার করে। পরে জামালপুর থানার পুলিশ তাকে আটক করে, মহিলার নাম রুকসোনা মল্লিক জামালপুরের পাঁচড়া এলাকার বাসিন্দা, তিনি তৃণমূলের এজেন্ট বলে জানা গেছে।তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী চোখে জল।ভয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।বর্ধমান ১নম্বর ব্লক বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ‍্যালয়ে ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে না পেরে গননা কেন্দ্রের সামনে গাছ তলায় বসে কাঁদতে শুরু করলেন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী রাখি দাস।গননা কেন্দ্র থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। এই গণনা কেন্দ্রেই বিরোধী সমস্ত এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছিল তার সাথে বাইরে যেতে বলা হয় তৃণমূলের এই প্রার্থীকে তিনিই প্রথম এ বছর প্রার্থী হয়েছেন। পেশায় গৃহবধূ। পরিবারে কাউকে না পেয়ে ভয়ে কান্নায় ভাসলেন।উপস্থিত মহিলা পুলিশ কর্মীরা তাকে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র বসায়। গণনা কেন্দ্রে প্রবেশই করতে পারলেন না।  তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী তিনি। এমনই ছবি বর্ধমান এক নম্বর ব্লকের গণনা কেন্দ্রের সামনে। প্রার্থীর নাম রাখি দাস।

মেমারি এক নম্বর ব্লকের সিপিএমের একজন প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর তার রেজাল্ট কেরে নেওয়ার অভিযোগ। সরাসরি অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ৫৩ ভোটে সিপিএমের প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন তার রেজাল্ট কেরে নিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি।হেনস্তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক বিজেপির এজেন্ট। মঙ্গলবার তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল ঘোষ। তিনি বাঘাড় ১ পঞ্চায়েতের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিজেপির  ৩১ নং মন্ডল সভাপতি রাজকুমার সাউ বলেন, ওনাকে গণনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে বারবার বের করে দেওয়া হয়। চরম হেনস্তা করা হয়। তার জেরেই এই অসুস্থ হয়ে যান। ঘটনার পর বিডিও নিজের গাড়িতে করে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন

শেষ পর্যন্ত প্রাণ হাতে করে  পুলিশের দেওয়া বাসে চেপে, পুলিশী প্রহরায় বর্ধমান ১ নং ব্লকের বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণনাকেন্দ্র ছেড়ে পালিয়ে গেলেন বিজেপি প্রার্থী ও এজেন্টরা। সকাল থেকেই এই গণনা কেন্দ্রে বিরোধীদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল। সকাল ৮ টা নাগাদ ভোট শুরু হতেই একে একে বিরোধীদের গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া শুরু হয়। সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকিও। এরপরই কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেন বিরোধীরা। তাতেও সমস্যা মেটেনি। গণনাকেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় এসে দাঁড়াতেই বিজেপির এক প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা হয়। হয় মারধর। এরপরই পুলিশী প্রহরায় তাদের বাসে চাপিয়ে পাঠানো হয় বাড়ি।তৃনমূল অভিযোগ অস্বিকার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *