সম্প্রতি,চীনে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই খবরটি সমাজে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
এই প্রযুক্তি কী?
এই প্রযুক্তিকে সাধারণত কৃত্রিম জরায়ু (Artificial Womb) বা এক্টোজেনেসিস (Ectogenesis) বলা হয়। এই পদ্ধতিতে, মায়ের শরীরের বাইরে একটি কৃত্রিম পরিবেশে ভ্রূণকে সম্পূর্ণ বিকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে সেইসব দম্পতিদের জন্য নতুন আশা তৈরি হয়, যারা বিভিন্ন কারণে স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণ করতে পারেন না।
প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্পন্ন হয়?

Read more- ৫৪টি ম্যাচ, ৮টি শহর, একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা!

- ভ্রূণ স্থাপন: প্রথমে, ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) পদ্ধতির মাধ্যমে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু একত্রিত করে ভ্রূণ তৈরি করা হয়।
- কৃত্রিম জরায়ু: এরপর এই ভ্রূণকে একটি কৃত্রিম জরায়ুর মতো দেখতে বায়ো-ব্যাগ (Bio-bag) বা বিশেষ ট্যাঙ্কের ভিতরে স্থাপন করা হয়।
- নিয়ন্ত্রণ: এই কৃত্রিম জরায়ুটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় রোবট সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ভ্রূণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি উপাদান, অক্সিজেন এবং সঠিক তাপমাত্রা সরবরাহ করে। এই রোবটটি ২৪ ঘণ্টা ভ্রূণের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করে এবং কোনো সমস্যা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করে।
- জন্ম: যখন ভ্রূণটি সম্পূর্ণ বিকাশ লাভ করে, তখন কৃত্রিম জরায়ু থেকে তাকে বের করা হয়, ঠিক যেন একটি স্বাভাবিক প্রসবের মতোই।
এই প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা: - বন্ধ্যত্বের সমাধান: যেসব দম্পতির সন্তান ধারণে সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি একটি বড় সমাধান হতে পারে।
- জটিল গর্ভাবস্থা: যেসব মায়ের শারীরিক কারণে গর্ভধারণ বা প্রসব ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের জন্য এই পদ্ধতি নিরাপদ।
- ঐচ্ছিকতা: যে নারীরা সন্তান ধারণ করতে চান কিন্তু কোনো কারণে গর্ভধারণের কষ্ট এড়াতে চান, তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
অসুবিধা: - নৈতিক ও সামাজিক বিতর্ক: এই প্রযুক্তিটি নিয়ে অনেক নৈতিক ও ধর্মীয় বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে।
- আইনি জটিলতা: এখনো এই ধরনের প্রযুক্তির জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন বা নিয়ম তৈরি হয়নি।
- স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি: কৃত্রিম পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুর দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে, তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
বর্তমানে ভারতে এই খবরটি একটি দাবি হিসেবেই রয়েছে। এই বিষয়ে আরও গবেষণা ও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হলে এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।