স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানে
আশঙ্কা সত্যি করে করোনা ফের দাপটে ব্যাটিং শুরু করল। বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ (East Bardhaman Corona)। শুধু বর্ধমান শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৯জন। নতুন বছরের শুরু থেকেই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল।সেই সংখ্যা এক লাফে বেড়ে সেঞ্চুরির দিকে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও। সব মিলিয়ে জেলার ১২জন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য কর্মী আপতত করোনা আক্রান্ত। যার জেরে চিন্তা বাড়ছে জেলা প্রশাসনের। একসঙ্গে এতজন চিকিত্সক, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বভাবতই বাড়ছে উদ্বেগ।
বর্ধমান কৃষি ভবন করোনা হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারও আক্রান্ত হয়েছেন (East Bardhaman Corona)। পাশাপাশি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন চিকিত্সকও সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্ত কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোভিড টাস্ক ফোর্সের একটি বৈঠক ডাকা হয় এইদিন। বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এবার কোভিড টেস্টের সংখ্যা প্রতিদিন আরও বাড়ানো হচ্ছে। ১৫-১৮ বয়সীদের টিকা দেওয়ার জন্য ক্যাম্প বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মী ও বয়স্কদের বুস্টার ডোজ শুরু করা হবে। এছাড়াও ব্লক ও মহকুমা এলাকায় সেফ হোমের জন্য জায়গা চিহ্নিতকরণ করে রাখা হচ্ছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে, বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, জেলা স্বাস্থ্য দফতর যেকোনো রকমের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে (East Bardhaman Corona)। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে সকলকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, মুখ, নাক মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে সকলকে। রাজ্যের চিকিত্সক মহলে করোনার প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কলকাতার পর পূর্ব বর্ধমানেও চিকিত্সক মহলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। যা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।