তৃনমূলের চা চক্রে ক্ষোভের আঁচ
চা খাওয়ানোর পরে তৃণমূল নেতাদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন গুসকরা শহরের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা। রবিবার গুসকরা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিরীষতলায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন গুসকরা শহর তৃণমূল সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায়, শহরের যুব তৃণমূল সভাপতি উত্পল লাহা-সহ অনেকে। কর্মসূচির নাম ‘চা-চক্র’।যার লক্ষ্য, পুরভোটের আগে শহরবাসীর সমস্যা শোনা ও তার সমাধান করা।
শিরীষতলা এলাকার আদিবাসীপাড়ায় কমবেশি ৪০টি নিম্নবিত্ত পরিবারের বাস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে সেখানে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। ‘চা-চক্রে’ যোগ দেন স্থানীয়দের একাংশ। কুশলবাবুদের কাছে তাঁদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সরকারি ‘আবাস যোজনা’ প্রকল্পে আবেদন করেও তাঁরা ঘর পাননি। পূর্ণিমা কিস্কু, ছবি তুরী, সুন্দরী হেমব্রম, কদমফুল কিস্কুদের মতো এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুরসভায় আবেদন জানিয়েও সরকারি বাড়ি মেলেনি।
এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহও পর্যাপ্ত নয়। নলবাহিত পানীয় জল ওই এলাকায় সে ভাবে পৌঁছয় না। রাস্তার ধারে ট্যাপকলগুলিও বিকল। এলাকায় একটি মাত্র নলকূপ রয়েছে। আরও দু’টি নলকূপ বসানোর দাবি জানান তাঁরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, সেখানে একটি জলাশয় রয়েছে। সংস্কার না হওয়ায় সেই জলাশয় থেকে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। পুরসভায় জানিয়েও সমস্যা মেটেনি।
উত্পলবাবু বলেন, ”এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শোনা হয়েছে। যে জমিতে তাঁরা বাস করছেন, তার মালিকানা ওই বাসিন্দাদের নামে নেই। সে কারণে আবাসন প্রকল্পে ওঁদের বাড়ি করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ওঁরা যাতে পাট্টা পান, সে বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা হবে।” দূষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”বিষয়টি নিয়ে পুরসভার সঙ্গে আলোচনা হবে। জলাশয়ের মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খুব শীঘ্রই পানীয় জলের সমস্যা মেটানো হবে বলেও আশ্বাস দেন ওই তৃণমূল নেতা। পুরভোটকে সামনে রেখে গুসকরা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। এ দিন শুরু হয়েছে ওই কর্মসূচি। কুশলবাবু জানান, মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য দলের বীরভূম জেলা সভাপতি তথা আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডলের পরামর্শে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গুসকরা পুরসভের সব ওয়ার্ডেও ‘চা-চক্র’ হবে বলে জানান কুশলবাবু।