কোভিডের ভ্যাক্সিন নিয়ে মৃত্যু বাংলায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের আরেক বাসিন্দা কোভিড ভ্যাক্সিনের বলি হলেন। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি পুরসভার বাসিন্দা তথা পেশায় ব্যবসায়ী কৃষ্ণ দত্ত(৬৫) সোমবার ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে কোভিড ভ্যাক্সিন কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন। এরপর তিনি নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালে পর্যবেক্ষণেই ছিলেন। কিন্তু দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দিতে তিনি বাড়ি এসে খাওয়াদাওয়া করেন ও বিকালে নিজের দোকানে গিয়েও বসেন। এরপর সন্ধ্যার দিক থেকে তার বেশ কয়েকবার বমি হয়। রাতে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া সেরে শুয়েও পড়েন। এদিন ভোর রাতে তাঁর প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তার জেরে তড়িঘড়ি করে তাঁকে ফের ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই কৃষ্ণবাবুর ভাইপো গোবিন্দ দত্ত অভিযোগ তোলেন যে, কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়েই কৃষ্ণবাবুর মৃত্যু হয়েছে। আর এই অভিযোগকে ঘিরেই এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে। ঘটনায় মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর আসল কারন জানতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
ঘটনায় করোনা বিষয়ক উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায় বলেন, ‘কোভিড ভ্যাক্সিন একটি সেফ ভ্যাক্সিন। এই ভ্যাক্সিন নিয়ে এমন অভিযোগ আগে শোনা যায়নি। মৃত্যুর আসল কারন জানতে দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। এই ভ্যাক্সিন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। আমি নিজে ও আমার পরিবার এই ভ্যাক্সিন নিয়েছে। তাই সবাইকে ভ্যাক্সিন নেবার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ যদিও এই ঘটনার জেরে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। একই সঙ্গে কৃষ্ণবাবুর দেহ ময়নাতদন্তর জন্য জলপাইগুড়ি মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই নিয়ে বাংলায় ২জন মানুষ মারা গেলেন ভ্যাক্সিন নিয়ে। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল গত মাসের শেষদিকে। বীরভূম জেলার বোলপুর থানার রজতপুর গ্রামে কোভিডের টিকা নিয়ে মারা যান তারক চক্রবর্তী নামে বছর ৫৩’র স্থানীয় স্কুলশিক্ষক তথা ভোটকর্মী।