করোনাকে দেখিয়ে অন্য কাজ আটকে রাখা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী
সৌজন্যে ইন্টারনেট – রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিনই সুস্থ হয়ে ওঠার হার বাড়ছে৷ এই পরিস্থিতিতে স্বস্তির খবর শোনাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আজ মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বরের শেষে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে। ২০-২৫ তারিখ নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসবে, এমনটাই তো বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের জেলায় জেলায় যাব৷ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর.
সোমবারের পর মঙ্গলবারও নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিভিন্ন জেলায় কাজের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজ নেন তিনি৷ এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দেন৷ তিনি বলেন, ‘করোনাকে দেখিয়ে অন্য কাজ বন্ধ করা যাবে না৷ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যের বকেয়া প্রকল্প শেষ করতে হবে৷ বকেয়া টাকা পাচ্ছি না বলে কাজ বন্ধ করা যাবে না৷
তিনি আরও বলেন,বাংলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ে ২৩ মার্চ। করোনার ফলে প্রচুর খরচ বেড়েছে, আয় কমেছে৷ প্রতিবেশী রাজ্য থেকে করোনা আক্রান্ত এলে তার চিকিৎসা করতে হবে৷ বাংলায় মৃত্যুর হার কমেছে, কিন্তু অন্য রোগ হলেও করোনায় ঢুকছে৷
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের পাশে আর্থিক সাহায্য নিয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে যে সমস্ত কৃষক মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের হাতে দু’লাখ টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ রাজ্যে মে মাস পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৯৫ জন কৃষক পরিবার ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় এই সাহায্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। যা যথেষ্ট ভালো একটা দিক হিসাবেই মনে করা হচ্ছে।