সুন্দর ও সফলভাবে শেষ হলো আনন্দ বার্তার ফুটবল টুর্নামেন্ট
বাঙালির আবেগ ফুটবল আর তাই ফুটবল মাঠে জনপ্রিয়তা বাড়াতে আনন্দ বার্তার এই উদ্যোগ
আনন্দ বার্তা টিভি চ্যানেলের উদ্যোগে দ্বিতীয় বর্ষে অনুষ্ঠিত হলো বর্ধমান ফুটবল লিগ। গত রবিবার ২২ শে সেপ্টেম্বর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুমাস ধরে চলা এই ফুটবল লীগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হলো। পাশাপাশি এ বছরই প্রথম আন্ডার থার্টিন ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আনন্দ বার্তা ।এই দুটো টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হলো রবিবার ২২ শে সেপ্টেম্বর। এই টুর্নামেন্টের কুড়ি জুলাই শুভ উদ্বোধন করেছিলেন বিধায়ক খোকন দাস এবং ফাইনাল খেলার শুভ উদ্বোধন করলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। পাশাপাশি এদিনই ছিল আনন্দ বার্তা টিভি চ্যানেলের ১৭ তম জন্মদিন। এদিন মাঠে কেক কাটলেন বিধায়ক খোকন দাস। এবং একই সঙ্গে মাঠের মধ্যে কেক কাটলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী কাঞ্চন কাজী। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার পৌর আধিকারিক জয় রঞ্জন সেন, কাউন্সিলর শ্যামাপ্রসাদ ব্যানার্জি, শাহাবুদ্দিন খান, ইন্তেকাল আলম সহ এক ঝাঁক ফুটবলপ্রেমী মানুষজন।
ফাইনালে মুখোমুখি হয় বর্ধমান ফুটবল লীগে(BFL) ময়দান ই স্পিড এবং সারদাময়ী জুয়েলার্স ওল্ড ইজ গোল্ড। টানটান খেলায় সারদাময়ী জুয়েলার্স ট্রাইবেকারের মাধ্যমে ময়দান ই স্পিডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয়, অন্যদিকে U-13 ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি হয় S4D সারদাময়ী জুয়েলার্স এবং ময়দান ই স্পীড। এই খেলায় ময়দান ই স্পীড S4D সারদাময়ী জুয়েলার্স কে হারিয়ে দেয়। আন্ডার ১৩ ফুটবল টুর্নামেন্টে বর্ধমান শহরের দশটি কোচিং ক্যাম্পের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করে এবং বর্ধমান ফুটবল লিগে আটটি দল অংশগ্রহণ করে।
আন্ডার থার্টিন ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয় সুরভী সিং, ম্যান অফ দ্যা সিরিজ দেবজিৎ সরেন, বেস্ট ডিফেন্স পীযূষ মল্লিক এবং বেস্ট গোলকিপার হয় জিৎ মল্লিক। পাশাপাশি বর্ধমান ফুটবল লিগে বেস্ট ডিফেন্স শান্তনু মান্ডি ,বেস্ট গোলকিপার সুরজিৎ ওরফে লাড্ডু ,ফাইনালে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ সুরজিৎ ওরফে লাড্ডু, ম্যান অফ দ্যা সিরিজ সেরাফত হোসেন (তাপী )।ফাইনালে জয়ী দলকে ৩০ হাজার টাকা নগদ ও সুন্দর টফি এবং বিজয়ী দলকে কুড়ি হাজার টাকা নগদ এবং সুন্দর ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও স্পিডের কর্ণধার তাপস মাকর প্রথম বছর কোচিং ক্যাম্প করে এবং টিম করে দুটো টুর্নামেন্টে ফাইনালে অংশগ্রহণ করে এবং একটিতে চ্যাম্পিয়ন একটিতে রানার্স । এর পাশাপাশি তাকেও আমরা ধন্যবাদ জানাই আনন্দ বার্তার যে কোন অনুষ্ঠানে আনন্দ বার্তার সাথে থাকার জন্য।
এই টুর্নামেন্টে বিশেষভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বাচ্চাদের খেলায় জার্সি দিয়ে জুয়েলস এন্ড জুয়েলারি এবং সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অর্ঘ্য অপটিক্যালস। বড়দের লিগে ফাইনালে ব্যক্তিগত পুরস্কার দেয় অর্ঘ্য অপটিক্যালস। সুন্দর একটি করে চশমা তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই টুর্নামেন্টে বিশেষভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সাথেও ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন মানির অর্ধেক টাকা আনন্দ বার্তা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কে দান করেন । তিনি হলেন সারদাময়ী জুয়েলার্স ওল্ড গোল্ড এর কর্ণধ ার সঞ্জীব পাল ।আন্ডার ১৩ খেলায় প্রত্যেকটি দলকে টিফিন এবং বর্ধমান ফুটবল লিগে বেস্ট খেলোয়াড়দের 2 ভরী রুপোর চেইন দিয়েও সহযোগিতা করেন সঞ্জীব পাল। আনন্দবার্তার পরিবার সঞ্জীব পালের এই সহযোগিতাকে এবং আমাদের পাশে থাকার জন্য কুর্নিশ জানাই।
এই টুর্নামেন্টে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক এর অবদান অস্বীকার করার নেই তারই অনুপ্রেরণায় এবং সহযোগিতায় এই দ্বিতীয় বর্ষে আনন্দ বার্তা এইর ূপ টুর্নামেন্ট সফলভাবে শেষ করল।
এর সাথে অবশ্যই আর একজনের নাম না করলেই নয় বিশিষ্ট সমাজসেবী কাঞ্চন কাজী। তিনিও শুরু থেকে আনন্দ-বার্তার পাশে সব সময় ছিলেন এবং আজও আছেন তাই আনন্দ বার্তার ১৭ তম জন্মদিনে তিনি আনন্দ-বার্তার পাশে থেকে আনন্দ-বার্তা স্বপ্নকে সফল করলেন।
সর্বশেষে আনন্দবার্তার পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে যারা আমাদের এই টুর্নামেন্টে আমাদের সাথে ছিলেন আমাদের জন্মদিনে আমাদের পাশে ছিলেন এবং খেলার মাঠে যারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে আরো একবার শুভেচ্ছা অভিনন্দন এবং ভালোবাসা।
বর্ধমান কল্পতর মাঠে কুড়ি জুলাই এই দুটি টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন হয়। প্রথম দিন থেকে এই টুর্নামেন্ট কে সফল করার জন্য আনন্দ বার্তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে, মানসিকভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা করেন সুমন স্পোর্টস এর কর্ণধার সুমন কুন্ডু এবং তার ছাত্ররা। বৃষ্টি রোদ গরম কে উপেক্ষা করে টুর্নামেন্টের খেলা গুলি সফলভাবে শেষ করতে তাদের যে পরিশ্রম তাকেও আমরা কুর্নিশ জানাই। সর্বশেষে বর্ধমান ফুটবল লীগে ১০৪ জন এবং আন্ডার ১৩ ফুটবল লীগে ১৫০ জন যে খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেছিল বা তাদের ওনার এবং ক্যাম ্পের কর্মকর্তারা তাদের কেউ জানায় অসংখ্য অসংখ্য শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
খেলার শুরুতে আমরা নীরবতা পালন করে উদ্বোধনের দিন এবং ফাইনাল খেলার দিন স্মরণ করেছিলাম আমাদের প্রিয় সঙ্গী পরমেশ্বর মোহন্ত কে। প্রথম বছরের শুরুতে আমাদের সাথে থাকলেও মাঝপথে হাত ছেড়ে চলে যায় পম। সে হাতটা ছেড়ে চলে গেলেও আমরা তার হাত ছাড়িনি। আমরা জানি সে আমাদের সাথেই আছে আমাদের পাশেই আছে।