৩০ টাকার টিকিট কেটে রাতারাতি বদলে গেল ভাগ্য
লটারির টিকিট রাতারাতি বদলে দিল ভাগ্য মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে কোটিপতি শ্যালক এবং ভগ্নিপতি।
লটারির টিকিট রাতারাতি বদলে দিল ভাগ্য মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে কোটিপতি শ্যালক এবং ভগ্নিপতি। খুশির হাওয়া পরিবারে। রাজ্য-জুড়ে ডিয়ার লটারি দুর্নীতি নিয়ে রাজনৈতিক তরজার মাঝেই লটারির টিকিট কেটে কোটি টাকা পুরস্কার জিতলেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু সাহা এবং কৃষ্ণ দাস। কিছু দিন আগেই ডিয়ার লটারির দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল-নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর বিতর্ক। তার মাঝেই এবার কোটিপতি এক পান বিক্রেতা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত পিপলা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু সাহার একটি ছোট পানের দোকান আছে।
সেই দোকান থেকেই অতি কষ্টে দিন যাপন করত সে। আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সংগ্রাম করে দৈনন্দিন জীবন চালাতে হতো। তবে জীবনের লড়াইয়ে কখনো হার মানেনি পিন্টু। সংসার চালাতে সব সময় কঠোর পরিশ্রম করেছে। আর তার সেই দৈনন্দিন সংগ্রামে তার পাশে থাকতো শ্যালক কৃষ্ণ দাস। কথাতেই আছে “কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে”। তাই রাতারাতি এই ভাবে ভাগ্য বদলে গেল শ্যালক এবং ভগ্নিপতির। সন্ধ্যে বেলা চা খেতে খেতে একটি লটারির দোকান থেকে দুইজনে মিলে তারা টিকিট কাটে। বিকেল ৫:৫০ মিনিটে তারা টিকিট কাটে। ডিয়ার লটারির ওই টিকিটের খেলা ছিল সন্ধ্যে ৬ টার সময়।
কিছুক্ষণ পরে খেলার ফলাফল দেখতেই আনন্দে আত্মহারা দুই জনেই। সবটাই যেন ছিল তাদের কাছে স্বপ্ন। পুরস্কারের এই অর্থ মূল্য সমান ভাগে ভাগ করে নেবে শ্যালক এবং ভগ্নিপতি। আগেও যে ভাবে তারা এক সঙ্গে থাকতো বর্তমানেও থাকবে। খুশি পরিবারের সকল সদস্যরাই। স্বাভাবিক ভাবে সাধারণ একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া কোন অসাধ্য সাধনের থেকে কম নয়। ফলাফল আসার সাথে সাথেই সুরক্ষার কথা ভেবে তারা দৌড়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুরস্কার পাওয়া পর্যন্ত তাদের সুরক্ষার সব দায়িত্ব হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের।