অবশেষে টিসি হাতে পেয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বিউটি বললেন অর্থের কাছে হেরে গেলাম,কিন্তু প্রধান শিক্ষক কি বললেন
ছেলেটির রেজিস্ট্রেশন রিজেক্ট করিনি,শুধু একটু দেরি করেছি।কারন আমরা চেয়েছিলাম ছেলেটি স্কুলে ডিসিপ্লিন যেমন মানছে না তেমনি শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করায় কাউন্সিলিং করবো।
বর্ধমান শহরের বড়বাজার সিএমএম হাই স্কুলের একাদশ শ্রেনীর রেজিস্ট্রেশনের সময় ডোনেশন বাবদ ১হাজার টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশাল বিশ্বাস ও সিএমএস হাই স্কুল কতৃপক্ষের গত ৭সেপ্টেম্বরের ঘটনায় ইতিধ্যেই জেলা জুরে আলোরন ও বির্তক সৃষ্টি করেছে ।বিশাল বিশ্বাসের মা বিউটি বিশ্বাস গত ৭সেপ্টেম্বরি বর্ধমান সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ইস্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ।ওইদিন বিউটি বিশ্বাসের অভিযোগ আমারা ইতিমধ্যে দেখিয়েছি,একই সাথে প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায়ের বক্তব্যও প্রতিবেদনে তুলে ধরেছি ।শুক্রবার ৯সেপ্টেম্বর সিএম এস হাই স্কুল কতৃপক্ষ বিশাল বিশ্বাসকে টিসি দিলো ।
টিসি হাতে পাওয়ার পর বিশালের মা স্কুলের গেটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাদতে কাদতে বলেন তার ছেলে সিএম এস স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে পড়ছিলো।শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত যে বন্ধুদের সাথে স্কুল জীবন শুরু করেছিলো আজকে ডোনেশন দিতে না পারার কারনে মূলত প্রধান শিক্ষকের জন্যই বিশালকে স্কুল ছেরে চলে যেতে হচ্ছে ।আমাদের আশাছিলো সবার সাথে আমার ছেলেও সিএম এস থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ফেয়ার ওয়েল নিয়ে বেরিয়ে যাবে ।কিন্তু ডোনেশন না দিতে পারায় সেই ইচ্ছা পুরন হবে না।আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে ডোনেশনের টাকা মুকুব করার আবেদন করেছিলাম কিন্তু প্রধান শিক্ষক সেই আবেদনে সারা সরাসরি বলেছিলেন এই স্কুলে পরাতে হলে ডোনেশন দিতেই হবে ডোনেশন দিতে না পারলে টিসি নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করুন ।ওনার জেদিই শেষপর্যন্ত বজায় রাখলেন,অর্থের কাছে হেরে গেলাম ।
একই সাথে বিশালের মা অভিযোগ করে বলেন স্কুলের পরিচালন সমেতি তাকে ডেকে দুঃখ প্রকাশ করেছে।পরিচালন সমেতিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামতো ডোনেশন নিচ্ছেন।শুধু তাই নয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল পরিচালন সমেতির সভাপতি স্কুলে গতকাল সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে বিশালের মা জানান।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় আজ বলেন আমরা ছেলেটির রেজিস্ট্রেশন রিজেক্ট করিনি,শুধু একটু দেরি করেছি।কারন আমরা চেয়েছিলাম ছেলেটি স্কুলে ডিসিপ্লিন যেমন মানছে না তেমনি শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করায় কাউন্সিলিং করবো।একই সাথে তার মা বাবার সাথে আলোচনা করবো।শেষে ছেলেটির কাছ থেকে একটি দরখাস্ত নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাবো।কিন্তু কেনো জানি না ছেলেটির মা বাবা ছেলের অন্যায়কে সাপোর্ট করে সঙ্গে আরও লোকজন এনে স্কুলে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলো।
প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় আরও বলেন ওর বাবা মা গত বুধবার কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধুদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলেন।ওইদিন সাংবাদিকরা বেরিয়ে যাওয়ার পরে ছেলেটির বাবা একটি দরখাস্ত নিয়ে এসে টিসির আবেন করেন ।এরপর একাডেমিক কাউন্সিলর মিটিংয়ের সিধান্ত অনুযায়ী ছেলেটিকে টিসি দেওয়া হলো ।ডোনেশন নেওয়ার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বলেন স্কুলে একটা অনুষ্ঠান হবে তার জন্য অবিভাবক শিক্ষক শিক্ষিকা এবং পরিচালন সমেতির সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক হয় ,যেসকল অভিভাবক পারবেন তাদের কাছ থেকে ডোনেশন নেওয়া হবে।এরজন্য কনোরকম বাধ্যবাদকতা নেই। বিশাল বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ওর মা বাবা ছেলের আচরনকে ঢাকা দিতে ডোনেশনের বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃতভাবে তুলে ধরছেন।রেজিস্ট্রেশনের সাথে ডোনেশনের কনো সম্পর্ক নেই।