২ বছরের শিশুর ওপর নৃশংসভাবে অত্যাচার , গ্রেফতার মা

১৮ মাসের শিশুসন্তানকে নৃশংসভাবে মারধোর করছেন এক মহিলা। ওই মহিলার এই কীর্তির একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। যা নিয়ে শোড়গোল পরে যায় তামিলনাড়ুতে। অবশেষে ব্যবস্থা নিল তামিলনাড়ু পুলিশ।রবিবারই অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোর এলাকা থেকে থুলাসি নামে ওই ২২ বছরের মহিলাকে গ্রেফতার করে তামিলনাড়ু পুলিশের বিশেষ দল। তাজ্জব ব্যাপার এই যে ওই শিশুর অকথ্য অত্যাচারকারী মহিলা তাঁর নিজের মা। আর এটা জানাজানি হতেই দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।

তামিলনাড়ু পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, ওই মহিলা তাঁর ১৮ মাসের ছেলের মুখে পরপর আঘাত করছে, তাতে শিশুটির মুখ ফেটে রক্ত বের হয়ে গিয়েছে। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সে শিশুটির পায়ে আঘাত করছে, এবং জুতো দিয়ে পেটাচ্ছে।

আর শিশুটিও যন্ত্রনায় চিত্‍কার করছে। কিন্তু মহিলার কোনও হেলদোল নেই।আরেকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই শিশুটির পিঠে দগদগে ক্ষত, যেন ভয়ানকভাবে বেত জাতীয় কিছু দিয়ে মারা হয়েছিল। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরা এই ভিডিওগুলি সম্পর্কে পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অবশেষে নড়েচড়ে বসে তামিলনাড়ু পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে থুলাসি নামে ওই মহিলা বিবাহ বিচ্ছিন্না এবং বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোরে থাকেন। এরপরই পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হলেই থুলাসি শিশুটির ওপর অত্যাচার করতো এবং ভিডিও করে স্বামীকে পাঠাতো। তামিলনাড়ুর ভেল্লিপুরম জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ এন শ্রীনাথ জানিয়েছেন, ওই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান প্রদীপ (যাকে মারধোর করা হয়েছে)। সিজার করে সন্তাব প্রসব তাঁর, ফলে নানান শারীরিক সমস্য়ায় জর্জরিত হতে হয়েছে থুলাসিকে। আর এর জন্য় সে সন্তানকেই দায়ি করত।

তবে পুলিশের অনুমান, বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে ওই মহিলা। আর প্রেমিককে বিয়ে করার জন্যই এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কের জন্যই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে থুলাসির। পুলিশ তাঁর প্রেমিককে খুঁজছে। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা থুলাসিকে মানসিকভাবে সুস্থ ঘোষণা করেছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে পকসো ধারায় একাধিক মামলা সহ অপহরণ, খুনের চেষ্টার মতো ধারা যুক্ত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *