মারাদোনার চিকিত্সককে নিয়ে ফের বিতর্ক
INTERNET-মৃত্যুর ১১ দিন আগে দিয়েগো মারাদোনার হঠাত্ বমি শুরু হওয়ায় বাড়িতে অ্যাম্বুল্যান্স ডেকেছিলেন দায়িত্বে থাকা নার্স। কিন্তু সেই অ্যাম্বুল্যান্স ফিরিয়ে দিয়েছিলেন চিকিত্সক ও মনোবিদ। ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ কল থেকে এরকমই তথ্য হাতে এসেছে।গত নভেম্বরে প্রয়াত হন মারাদোনা। কিন্তু আর্জেন্টিনার পুলিশ তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এঁদের মধ্যেই রয়েছেন চিকিত্সক লিয়োপোল্ডো লুকে ও মনোবিদ অগাস্টিনা কোসাচভ। জানা যাচ্ছে মৃত্যুর ১১ দিন আগে হঠাত্ই বমি করতে শুরু করেন মারাদোনা। তখন তাঁর নার্স অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন। কিন্তু লুকে এবং কোসাচভ সেই অ্যাম্বুল্যান্স ফিরিয়ে দেন। মারাদোনার জন্য নার্সের যে দল ছিল তার প্রধান ন্যান্সি ফ্লোরিন ও মারাদোনার মেয়ে জিয়ান্নিনার মধ্যে কথোপকথন থেকে এটা জানা যাচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপে ফ্লোরিন ও জিয়ান্নিনার এই কথোপকথন ফাঁস করেছে আর্জেন্টিনার একটি টেলিভিশন চ্যানেল। সেখানে দেখা যাচ্ছে জিয়ান্নিনাকে ফ্লোরিন বলেন, ”আপনার বাবার বাড়িতে যে নার্সরা রয়েছে, তারা বলছে উনি খুব বমি করছেন। আমার কাছে জানতে চাইছে, কী করা উচিত। মনে হয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সব কিছু দেখে নেওয়াই ভাল। আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ অ্যাম্বুল্যান্স বেরিয়ে পড়েছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যাবে।”
এরপর জিয়ান্নিনা উত্তরে বলেন, ”আমি লুকে এবং কোসাচভের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছি। ওরা আমাক বলল, আর সমস্যা নেই। বাবা ঠিক আছে। ঘুমোচ্ছে। ফলে কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে।” এরপর ন্যান্সি বলেন, ”যদি আপনারা মনে করেন কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে, তাহলে করুন। আমি অ্যাম্বুল্যান্স ফিরিয়ে দিচ্ছি। তবু আমরা বলব, অ্যাম্বুল্যান্স বাড়ি পর্যন্ত যাওয়া উচিত। কিন্তু আপনাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করব না।”
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর মারাদোনা যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন, তখন যে নার্সিং দল তাঁর দায়িত্বে ছিল, সেই দলের প্রধান মারিয়ানো পেরোনিও একই অভিযোগ করে বলেন, ”একবার তো কিছু একটা খাওয়ার পর মারাদোনার প্রচণ্ড বমি শুরু হয়। অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। কিন্তু হঠাত্ দেখলাম সেটা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তখন আমি নিজের গাড়ি করে ডাক্তার নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করা যায়নি। কারণ ওরা চাইত না মারাদোনাকে ডাক্তার দেখানো হোক।” ঘটনা হল, এই পেরোনিও পুলিশের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন।