প্লাবিত হয়ে গিয়েছে নদীয়ার মায়াপুর ইদ্রাকপুর আর নবদ্বীপের সংযোগস্থল মাটির বাঁধ
নদীয়া, (নবদ্বীপ)-বিগত কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ও নদীতে জলস্তর বেড়ে গিয়ে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে নদীয়ার মায়াপুর বামুনপুকুর দু’নম্বরগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইদ্রাকপুর গ্রামে প্রবেশ করার একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা ইদ্রাকপুর আর নবদ্বীপের সংযোগস্থল মাটির বাঁধ। এই গ্রামের সকল মানুষই কৃষিজীবী ও দুগ্ধ ব্যবসায়ী। ফলে রুটি-রুজির টানে নিত্যদিন একমাত্র সম্বল ওই বাঁধের রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের আসতে হয় নবদ্বীপ শহরে। নবদ্বীপ থেকে ইদ্রাকপুর যাওয়ার জন্য নদীবক্ষে জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা সচল থাকলেও শুধুমাত্র নৌকার ওপর ভরসা করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।
পাশাপাশি বেশি রাতে জলপথে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে রাত বিরাতে অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয় রোগীর পরিবার পরিজনদের। পূর্বে বাঁধ জলমগ্ন থাকার কারণে সময়মতো চিকিৎসকের কাছে পৌঁছতে না পারায় রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে ইদ্রাকপুর গ্রামে। চারদিক জল দ্বারা বেষ্টিত গ্রামটিতে বসবাসকারী কয়েক হাজার পরিবার সম্পূর্ণভাবে নবদ্বীপ শহরের উপর নির্ভরশীল।
যার ফলে প্রতিবছর বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি ঘটলে বা নদীর জল স্তর বৃদ্ধি পেলে মাটির তৈরী এই বাঁধটির অধিকাংশ অংশ জলের তলায় ডুবে গিয়ে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে ফলে অতিরিক্ত অর্থব্যয় করে জলপথ পরিবহনের উপর নির্ভরশীল হতে হয় গ্রামবাসীকে। পরে নদীতে জল স্তর কমে গেলে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে বাঁধ মেরামতি করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতি বছর বর্ষার মরশুমে কয়েক মাস চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় ইদ্রাকপুর বাসীকে।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আশা এই ভোগান্তির হাত থেকে গ্রামবাসীকে নিস্তার দিতে ইদ্রাকপুর গ্রাম থেকে নবদ্বীপ শহরে যোগাযোগের একমাত্র সম্বল কাঁচা বাঁধের রাস্তাটা নদী স্তর থেকে আরো উঁচু ও কংক্রিটের তৈরি করা হলে প্রতিবছর এই চরম ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবেন কয়েক হাজার ইদ্রাকপুরবাসী বলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।