নেতৃত্বের প্রাথমিক পাঠ নিয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেওয়াগের কাছ থেকে
নেতা হিসেবে তিনি বিশ্ববন্দিত। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বকাপের ফাইনালেও উঠেছিল ভারত। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্বের প্রাথমিক পাঠ নিয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেওয়াগের কাছ থেকেও। এমনটাই জানালেন তিনি নিজেই।
শনিবার এক ইউটিউব চ্যাটে এসে নিজের ক্যাপ্টেনশিপ নিয়ে অকপট মহারাজ। মিথ হয়ে যাওয়া ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি-র ফাইনাল নিয়ে বলছিলেন, ‘ফাইনালে আমাদের সামনে টার্গেট ছিল ৩২৫। যখন আমরা ওপেন করছিলাম, আমি অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে শেওয়াগ সেই সময়েও জেতার বিষয়ে আশাবাদী ছিল। আমাদের শুরুটাও ভালো হয়েছিল (১২ ওভারে ৮২)। তারপরে আমি ওকে বলছিলাম, নতুন বল খেলে ফেলেছি, এখন কোনোভাবেই উইকেট হারালে চলবে না। সিঙ্গলস নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে।’
এরপরেই শেওয়াগের বিষয়ে সৌরভ বলে দেন, ‘রনি ইরানি যখন বল করতে এল, শেওয়াগ প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকাল। আমি ওঁকে পরামর্শ দি-ই, ওভারের বাউন্ডারি পেয়ে গিয়েছি, এবার সিঙ্গলস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তবে শেওয়াগ আমার কথা কানেই তোলেনি। দ্বিতীয় বল, তৃতীয় বলেও পরপর বাউন্ডারি হাঁকাল। আমি তখন বেশ রেগে গিয়েছিলেন। এমনকি পঞ্চম বলেও চার মারতে দ্বিধা করেনি। তারপরেই আমি উপলব্ধি করি, শেওয়াগকে ওঁর স্বাভাবিক খেলা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতেই স্বচ্ছন্দ।’
ক্যাপ্টেন সৌরভ বড় শিক্ষা পেয়েছিলেন, সেই ঘটনায়। নিজেই স্বীকার করে বলছেন, অধিনায়কের ম্যান ম্যানেজমেন্ট স্কিল থাকা অবিশ্যিক। ক্রিকেটারদের ভাবনা চিন্তার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়।ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি-র সেই ম্যাচে ঐতিহাসিক জয় শেষ পর্যন্ত ভারত ছিনিয়ে নেয় মহম্মদ কাইফ এবং যুবরাজ সিংয়ের ব্যাটে ভর করে। সেই ম্যাচেই দুর্দান্ত শিক্ষা পান অধিনায়ক সৌরভ। তারপরের বছরেই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে একের পর এক নজরকাড়া পারফরম্যান্স। ফাইনালে উঠে রিকি পন্টিংয়ের অপ্রতিরোধ্য দলের কাছে হারতে হলেও ক্রিকেট বিশ্বের হৃদয় জিতে নিয়েছিল সৌরভের ভারত। আর নেতৃত্বে সর্বকালের অন্যতম সেরার তকমাও বসে যায় মহারাজের জার্সিতে।