সাংবাদিকের মেয়ে বলে পড়ার ব্যাচ এ এক ঘরে

নিজস্ব প্রতিনিধি :মালদাঃ মালদা জেলার সাংবাদিক দেবু সিংহ অনেক দিন ধরে রয়েছেন সাংবাদিকতার সঙ্গে করোনা আবহের মধ্যেও দিনরাত এক করে সাধারণ মানুষকে খবর পরিবেশন করে চলেছেন তাই বলে এমন দিন আসবে ! একবারও ভাবেননি। কথায় বলে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম এবং জনগণের কণ্ঠস্বরসমাজের সমস্ত পরিস্থিতির কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেন সাংবাদিকেরা।  যদি তথ্য সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশিত না হয়, তাহলে হয়তো অন্ধকারে ডুবে থাকতে হতো সাধারণ মানুষকেদেবু বাবু জানিয়েছেন তাঁর ছোট্ট মেয়ে যখন গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়তে যায়, তখন তাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়নেপথ্যে অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা পাড়ায় ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও মেয়েকে শুনতে হয় বাড়ি যাও তোমার বাবা বাইরে ঘুরে বেড়ায়  …কেন জানেন ?  যেহেতু তিনি সাংবাদিকবিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেনএটাই তাঁর দোষআর সেই দোষের ভাগিদার তার মেয়ে। 

 

মানুষকে সত্যতা এবং সঠিক দিকটা দেখানো যাদের কর্তব্যসেই সাংবাদিকের ছোট্ট মেয়েকে গৃহশিক্ষকের ব্যাচে দুরে করে রাখা হয় ,এ কেমন সমাজ ব্যাবস্থা ? সুশীল সমাজ জানেন আজও  সাংবাদিকরা কিভাবে কাজ করেন ? শুধুমাত্র লেখার নেশায় দিনের উপর দিন  লিখে যাচ্ছেন পেশা পরিবর্তন না করে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী দিনে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে না সাংবাদিক, না চিকিৎসক, না পুলিশ, না স্বাস্থ্যকর্মী কেউ হয়তো এগিয়ে আসার সাহস পাবে না

মানুষকে সচেতন হতে হবে জনস্বার্থে জন্য যেভাবে সাংবাদিকেরা মাঠে, ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাদের সাধুবাদ জানানো উচিতকিন্তু তা না করে খুঁদে মেয়ের উপর বঞ্চনা করা হচ্ছেদেবু সিংহ বলেন “তাঁর মেয়েকে দূরে থেকে, তাকে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে হচ্ছে‌অন্যান্য কচিকাঁচারা অবশ্য একসাথেই থেকে আনন্দ উপভোগ করে, পড়াশোনা করছেজানি না এতে অন্যরা কতটা সচেতনতবে একজন সাংবাদিকের কর্তব্য এবং দায়িত্ব সঠিক তথ্য তুলে ধরা এবং  মানুষকে জীবনে চলার ক্ষেত্রে অবগত করাযা সাংবাদিকেরা চিরদিন করে এসেছে,  অদূর ভবিষ্যতেও করে যাবে।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *