ভ্যাকসিন, ওষুধ, অক্সিজেন সহ যা যা দরকার তার বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি মমতার
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই কোভিড মোকাবিলায় নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সেরেই নবান্নে ফিরে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য। কোভিড ভ্যাকসিন, ওষুধ, অক্সিজেন সহ এই মুহূর্তে রাজ্যের জন্য যা যা দরকার তার বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এই চিঠিতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই করোনার জরুরি ওষুধপত্র, মেডিক্যাল অক্সিজেনের জোগান বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের ফল নিশ্চিত হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যবাসীকে বিনামল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবাদেন পাঠানো হবে। এই আর্জি মানা না হলে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের কাছ থেকে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন রাজ্যে আসছে তা অনিয়মিত ও পর্যাপ্ত নয়। এখন ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ চলছে, ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ দেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপরে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দিতে হবে। যার জন্য কোভিড টিকার বিপুল পরিমাণ ডোজ দরকার। যা এই মুহূর্তে রাজ্যের সংগ্রহে নেই। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে বলেছেন, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ এখন শুরু করা যায়নি। সরকারি হাসপাতালগুলির সঞ্চয়ে যে পরিমাণ টিকার ডোজ আছে তা ৪৫ উর্ধ্বদের সেকেন্ড ডোজ দিতেই চলে যাবে। কমবয়সীদের টিকাকরণ শুরু করতে হলে আরও ডোজ পাঠাতে হবে কেন্দ্রকে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার কথা বলেছেন তিনি।
বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে অতি দ্রুত রেমডেসিভির ওষুধের ১০ হাজার ডোজ ও ১০০০ ভায়াল টোসিলিজুমাব প্রয়োজন। এই দুই ওষুধের সরবরাহ যাতে বাড়ানো হয় সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।মেডিক্যাল অক্সিজেনের উত্পাদন বাড়াতে রাজ্যে ৫৫টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যের বড় কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিত্সার জন্য তরল অক্সিজেনের জোগান দিতে ৭০টি পিএসএ প্ল্যান্ট বসানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্ল্যান্টগুলিতে তৈরি হবে লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন (এলএমও)। তবে প্ল্যান্টগুলি বসাতে সময় লাগবে। তার আগে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের জোগান পর্যাপ্ত রাখতে কেন্দ্রকেই সঠিক সময় সরবরাহ করতে হবে।