পরিচালক তরুণ মজুমদার চেয়েছিলেন তাঁর চলে যাওয়ায় যেন কেন আড়ম্বর না হয়। গবেষণার স্বার্থে এসএসকেএম হাসপাতালে পরিচালকের নশ্বর দেহ দান করা হচ্ছে।তাঁর ইচ্ছে মতোই সমস্ত পরিকল্পনা করেছে পরিচালকের পরিবারের লোকজন এবং অনুরাগীরা।
অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, যাঁরা ওনার সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা ভাগ্যবান। তাঁরা অনেক কিছু শিখেছেন। প্রয়াত তরুণ মজুমদারের দেহ গবেষণার স্বার্থে দান করা হবে এসএসকেমে। এই নিয়ে সিপিএম নেতা রবীন দেব জানিয়েছেন, পরিবারের সিদ্ধান্ত এখানে শেষ কথা। আমরা বলার কেউ নই। দেহদানকে সম্মান জানিয়ে প্রয়াত পরিচালকের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হবে।
এসএসকেএম থেকে পরিচালকের মরদেহ এনটি ওয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয়।অভিনেতা, পরিচালকেরা শ্রদ্ধা জানান তাঁকে।এনটি ওয়ান স্টুডিওতে দেহ কিছুক্ষণ রাখার পর ফের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রিয় পরিচালককে শেষ বারের মতো দেখতে অগুনতি দর্শক ভিড়।
দেহদানের চুক্তিপত্রে শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করে যেতে পারেননি তরুণ মজুমদার।তরুণ মজুমদার প্রয়াত হওয়ার পর তাঁর পরিবারের তরফেই দেহদানে সম্মতি দেওয়া হয়।
শোকপ্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক মহল থেকে শিল্পী মহলের ব্যাক্তিত্বরা। শোকজ্ঞাপণ করেছেন স্ত্রী সন্ধ্যা রায়। প্রবীণ পরিচালকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সন্ধ্যা রায়।
বহু অভিনেতার চলচ্চিত্র জগতে পা দেওয়া তাঁর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তরুণ মজুমদারের সিনেমায় হাতেখড়ি হওয়া অভিনেতার অনেকেই ভারত বিখ্যাত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে মৌসুমী চ্যাটার্জী, দেবশ্রী রায় সহ একাধিক নাম রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে দেবশ্রী রায় জানিয়েছেন, শিল্পী গড়ার কারিগর ছিলেন তরুণ মজুমদার। কান্না জড়ানো গলায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, উনি বাংলা সিনেমার স্তম্ভ।